গর্জনিয়ায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে এসিড নিক্ষেপের মামলায় দুই সহোদর
কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের মাঝিরকাটা গ্রামে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে দুই সহদোরকে জড়ানো হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক নির্দোষ দুই সহোদরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপারসহ নানা দপ্তরে লিখিত আবেদন পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই এসিডদগ্ধের মামলায় আটক হওয়া নুরুল আবছার ভুট্টোর পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ উত্থাপণ করেন। সংবাদ সম্মেলনে নুরুল আবছার ভুট্টোর বাবা বাদশা মিয়া, মা মমতাজ বেগম, স্ত্রী আয়েশা বেগমসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন।
মমতাজ বেগম বলেন- তারা নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের মামা-ভাগিনারঝিরি গ্রামের বাসিন্দা। রামুর গর্জনিয়ার মাঝিরকাটা গ্রামের তরুণী তৈয়বা বেগমের সঙ্গে সংঘটিত এসিডদগ্ধের ঘটনায় তাঁর পরিবারের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। তবে এ ঘটনার তিন থেকে চার মাস পূর্বে তৈয়বা বেগমের ভাই আজিজ মৌওলা কাজের টাকা নিয়ে কাজ করতে না আসায় ছেলেদের সঙ্গে তর্ক হয়। ৩০০ টাকার ঘটনায় শেষ পর্যন্ত ছেলেদের বিরুদ্ধে উল্টো মামলা পর্যন্ত করেছে। হয়তো এ ঘটনার জের ধরে তৈয়বার উপর এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় ছেলে নুরুল আবছার ভুট্টো ও ফরিদুল আলমকে ফাঁসানো হয়েছে। এ অন্যায় কান্ডটি ঘটিয়েছেন তৈয়বার বাবা মোজাফ্ফর আহমদ।
আয়েশা বেগম বলেন- তৈয়বাকে যেদিন রাতে এসিড মারা হয়েছে সেদিন রাত নয়টা থেকে সকাল পর্যন্ত নুরুল আবছার ভুট্টো ও ফরিদুল আলম নিজ বাড়িতেই ছিলেন। সকালে গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম নুরুল আবছারকে ডেকে পরিষদে নিয়ে যান। পরে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। একেবারে বিনাদোষে তাঁর স্বামী এসিডের মামলায় হাজতবাস করছে এবং তাঁর ভাসুর ফরিদুল আলম পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বর্তমানে বাবা ছাড়া দুই কন্যা সন্তান ও পরিবারের বাকি সদস্যদের নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন আয়েশা।
নুরুল আবছার ভুট্টোর বাবা বাদশা মিয়া বলেন- তৈয়বার সঙ্গে স্থানীয় বদু নামের এক ছেলের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তৈয়বার বিয়ে হয়ে যাওয়ার খবরে সেই ছেলেটি এসিড নিক্ষেপ করে আমার ছেলেদেরকে ফাঁসিয়েছেন। নুরুল আবছার ভুট্টো ও ফরিদুল আলম একেবারেই নির্দোষ দাবি করেন তিনি।