parbattanews

গর্জনিয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২১ দোকান পুড়ে ছাই

রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নস্থ গর্জনিয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২১ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) ভোর রাত সাড়ে ৩ টায় বাজারের মাদরাসা গেইট সংলগ্ন উত্তরাংশের মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। এতে আয়াত উল্লাহ (১৪) নামের এক বাক ও মানসিক প্রতিবন্ধী শিশু গুরুত্বর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মো. ইসমাঈল নোমান।

ব্যবসায়ীরা জানান, আগুনের সূত্রপাত চুলার আগুন নতুবা বৈদ্যুতিক শর্কসার্কিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ সময় অগ্নিকান্ডে ঔষধের দোকান ৩ টি, কাপড়ের দোকান ১টি, মুরগীর দোকান ২ টি, কম্পিউটারের দোকান ২টি, হোটেল ২ টি, চা দোকান ২টিসহ মোট ২১ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ।যার ক্ষতি প্রায় ৪ কোটি টাকা।

পুড়ে যাওয়া দোকান মালিকরা জানান, শুকমুনিয়া হোটেল থেকে আকষ্মিক অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটলেও মূহুর্তে মধ্যেই আগুনের লেলিহান চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় স্থানীয় জনতা স্বতঃফুর্তভাবে আগুন নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন

খবর পেয়ে রামু ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা ভোর ৪ টা ৪০ মিনিটের দিকে পৌঁছলে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা বেগবান হয় ।

প্রতিষ্ঠানকে সার্বিক সহায়তা করেন গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদ রানার নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, আহত পথ শিশুটি মাদরাসা গেইটের বাবুর দোকানের সামনে ঘুমন্ত অবস্থায় তার গায়ে আগুনে পুড়ে যাওয়ার সময় দৌড়ে গিয়ে রক্ষা পেলেও তার অবস্থা সংকটাপন্ন। সে গর্জনিয়া ইউনিয়নের জুমছড়ি গ্রামের মৃত আবু হান্নানের ছেলে। তবে সে বাক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। তাকে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরে চট্টগ্রামে রেফার করেন।

গর্জনিয়া পুলিশের আইসি মাসুদ রানা আহত এ শিশুর জন্যে অর্থ সহায়তা দেন।

এদিকে আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করলে ভোরেই পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল রেজাউল করিম ছুটে যান। পরে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) অরূপ কুমার ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ ইসমাঈল নোমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

দুপুরে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মোস্তফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাদের সান্তনা দেন। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে অর্থ, কম্বল ও মাদুর সহায়তা দেন। আর তাদেরকে সরকারি আরো সহায়তার আশ্বাস দেন।

এর আগে কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যানের রাহাতজান পরিবারের পক্ষ থেকে অর্থ ও চাল সহায়তা দেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের।

উল্লেখ্য, বিগত ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ বাজারটিতে অগ্নিকাণ্ডে ফিরোজ আহমদ সওদাগর ও তার কর্মচারী আনোয়ার হোসেন নিহত হয়।

Exit mobile version