parbattanews

গর্জনিয়া বাজারে ১৯ বস্তা ইউরিয়া সার জব্দ

Exif_JPEG_420

রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া বাজারে সরকারের ভর্তুকির ১৯ বস্তা ইউরিয়া সার কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগে জব্দ করেছে সার মনিটরিং কমিটির সদস্যরা।

মঙ্গলবার ( ২৮অক্টোবার) বিকালে বাজারের মন্ছুরের চালের দোকান থেকে এ সব সার জব্দ করেন। এ সময় কর্তকর্তাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, ককসবাজার জেলা অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) মো আতিকুল্লাহ ও রামু উপজেলা সার মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মাসুদ ছিদ্দিকী।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, তারা গোপন সূত্রে খবর পেয়েছেন গর্জরিয়া বাজারে অবৈধভাবে ইউরিয়া সার বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে তারা ঝটিকা অভিযান চালান মঙ্গলবার। অভিযান চলাকালে উপজেলা নির্বার্হী অফিসারের নির্দেশে জব্দকরা ১৯ বস্তা সার পুলিশ দিয়ে  উপজেলা সদরে নিয়ে যাওয়া হয়। কমিটি প্রধান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি নিয়ে বাকী সিদ্ধান্তও নেবেন।

এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কৃষি প্রধান গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন এলাকায় এখন কৃষি ক্ষেত বিলুপ্তির পথে। এখানে তামাক চাষের জয়জয়কার অবস্থা। কৃষি ক্ষেতের জমিতে তামাক চাষ হওয়ায় সরকারের ভুর্তুকির সারও সমান তালে সেখানে ব্যবহার হচ্ছিলো।

তারা আরও বলেন, এ বাজারে সাধারণ কৃষকরা সার পান অনেক কষ্টে। আর তামাক চাষিরা পান সহজে। এ জন্যে তামাক চাষ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এ সব সহায়তা করে থাকেন স্থানীয় কৃষি উপ-সহকারীরা। তাদের সাথে সখ্যতা সৃষ্টি করেই কালো বাজারে সার বিক্রি করছে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা  ৩ গুন বেশি দামে এ সার বিক্রি করে মাত্র কয়েক বছরে অনেক টাকার মালিক বনে গেছেন। আর  কালোবাজারে সার বিক্রয়কারী আবুল মনছুরও তাদের একজন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মাসুদ ছিদ্দিকী আরও জানান, তারা তামাক চাষে কোন সার বিক্রি করেন না। কিন্তু তামাক চাষিরা কৌশলে অন্যান্য চাষ দেখিয়ে বা সামান্য করে চাষ দেখিয়ে তামাকের জন্যে সার সংগ্রহ করে থাকে। মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের কেউ এ অনিয়মে জড়ালে তাদের ছাড় নেই। বিষয়টি তিনি আরও সক্রিয়ভাবে দেখে ব্যবস্থা নেবেন।

Exit mobile version