parbattanews

গর্ভকালীন যত্ন হলো গর্ভবতী মাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখা

unnamed copy

দীঘিনালা প্রতিনিধি:

“গর্ভধারণের সময় থেকে প্রসব হওয়ার পর পর্যন্ত সময়ে মা ও শিশুর যত্নকে গর্ভকালীন যত্ন বলে। গর্ভকালীন যত্নের উদ্দেশ্য হলো গর্ভবতী মাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখা, যাতে তিনি একটি স্বাভাবিক সুস্থ সন্তান জন্ম দিতে পারেন। মা নিজে সুস্থ থাকেন, জন্মের পর সুন্দরভাবে সন্তানের যত্ন দিতে পারেন। গর্ভধারণের পর পরই গর্ভবতী মহিলার গর্ভকালীন যত্নের জন্য ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে হবে। মা যদি গর্ভকালীন যত্নে থাকেন তবে তার গর্ভাবস্থায় কোনো জটিলতা দেখা দিলে তার প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সম্ভব।

বুধবার দীঘিনালা উপজেলার তারাবুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে মা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, দীঘিনালা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. রেজাউর রহমান খান।

এসময় তিনি আরও বলেন, প্রথম গর্ভবতী হওয়ার পর মাসিকের পথে কমবেশি রক্ত যাওয়া, তলপেটে অস্বাভাবিক ব্যথা হতে পারে তবে, সেজন্য ভ্রুণের যাতে ক্ষতি না হয়, তার জন্যে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাবেন।

এছাড়া  গর্ভবতী মা স্বাভাবিক খাবার গ্রহণ করবেন। তবে খাদ্য তালিকায় সুষম খাবার থাকতে হবে। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকলে ভালো হয়। গর্ভবতী মাকে দুপুরে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা এবং রাতে ৮-১০ ঘণ্টা বিশ্রাম নিতে হবে।

দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর উদ্যোগে আয়োজিত মা সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন,  উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিটু দেওয়ান, স্বাস্থ্য সহকারী সোলকশশী চাকমা, কবাখালী ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মো. আবদুর রহমান এবং তারাবুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেল্থ প্রোভাইডার নবারুণ জ্যোতি দেওয়ান প্রমুখ।

মা সমাবেশে তারাবুনিয়া এলাকার গর্ভবতী মা ও দুগ্ধদানকারী মায়েরা উপস্হিত ছিলেন।

Exit mobile version