গাঁজার আগুনে দীঘিনালায় পুড়ে গেল এক পরিবারের বসতবাড়ি

মোঃ আল আমিন, দীঘিনালা

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার পশ্চিম থানা পাড়া (জিয়া নগর) গত ২৯ অক্টোবর রাত পৌনে একটা দিকে রাবিয়া বেগমের বাড়িতে হঠাৎ আগুন জ্বলে ওঠে। ঘটনার সময় বাড়িতে কেউ ছিলনা। এলাকাবাসী জানায়, ঘটনার কয়েক মাস ধরে তিনি, ঐ বাড়িতে থাকেনা। বাড়ির মালিক রাবিয়া বেগম কয়েক মাস ধরে পাগল হয়ে গেছে , যার কারনে রাবিয়াকে তার মা নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন সদস্য আমিনুল ইসলাম ভুলু জানান, ১৯৯২ সালে তথকালীন সেনাবহিনী ৪২ পারিবারকে পূর্নবাসন করে,বর্তমানে সেখানে ৬০টি পরিবার রয়েছে। রাবিয়ার পিতা মৌলভী তাজুল ইসলামের নামে ঐ জায়গাটি বরাদ্দ দেয়া হয়। জায়গাটি দেয়ার কিছু দিন পর রাবিয়া পিতা জায়গাটি তাকে দিয়ে যায়। পড়ে রাবিয়া এক সময় তার বাপের বাড়িতে বেড়াতে গেলে শহিদ মিস্ত্রি নামে এক ব্যক্তি জায়গা বিক্রির ভূয়া দলিল দেখিয়ে ঐ বাড়িতে ঢুকে পড়ে।

কিছু দিন পড়ে রাবিয়া বেগম যখন তার বাপের থেকে, বাড়িতে ফিরে আসে এসে দেখে তার বসত বাড়িটি শহিদ মিস্ত্রি‘র দখল করে বসবাস করছে। রাবিয়ার মা বাদী হয়ে, শহিদ মিস্ত্রি ও পাশের বাড়ির তোতা মিয়ার নামে থানায় একটি মামলা করে। মামলাটি তদন্ত হওয়ার আগে স্থানীয় মেম্বার ও স্থানীয় গন্যমান্য লোকজনের উপস্থিতিতে গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে রাবিয়া বেগমকে শহিদ ও তোতা মিয়া কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে মামলাটি মিমাংসা করা হয় এবং তার বাড়ি থাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।

পূর্বের ঘটনার জের ধরে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটাতে পারে বলে স্থানীয়রা মনে করেন। এ ব্যাপারে তোতা মিয়ার ছেলে বলেন, স্থানীয় বখাটে ছেলে ইসমাইল ও দেলোয়ার গাজা খাওয়ার জন্য পাশের চা দোকান থেকে আগুন নিয়ে যায়। সেই গাঁজা খাওয়া আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে সে জানায়। রাবিয়া বেগম তার বাপের বাড়ি ফটিকছড়ির চিকনছড়ায় থাকার কারনে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়রা ঘটনাটির সুষ্টু তদন্তের দাবী করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন