parbattanews

গাছের ডালে হিমেল হাওয়ায় দুলছে আমের মুকুল

গাছের ডালে হিমেল হাওয়ায় দুলছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের কড়া ঘ্রাণ। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে তোলে। মধু সংগ্রহ করতে মৌমাছিরা ভিড় করছে আম গাছের ডালে ডালে। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে আমের এই মুকুলগুলো।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজস্থলী উপজেলার বলি পাড়া, খুদী রামের আম বাগান, মুবাছড়ি, উদয়ন মেম্বার এর পাশজুড়ে দেখা যায় রকমারি আমের গাছ। আর গাছের ডালে ডালে ফুটেছে আমের মুকুল।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, কিছুদিন আগের বৃষ্টির পানি পেয়ে গাছে গাছে আমের মুকুল বের হতে শুরু করেছে। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে মনে করছেন আম চাষিরা। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলো।

এদিকে রাজস্থলী উপজেলার বলি পাড়া খুদি রাম ত্রিপুরা জানান, প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকে তার বাগানে লাগানো গাছ গুলোতে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে। কিছু গাছে গাছে এখন মুকুল বের হচ্ছে।

উপজেলার ১নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের মুবাছড়ি গ্রামের কৃষক ও বাগান মালিক উদয়ন তনচংগ্যা ও প্রিয় কুমার তনচংগ্যা বলেন, তাদের লাগানো আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। কিছু গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে। বেশির ভাগ গাছে মুকুল বের হচ্ছে। মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের পরিচর্যা করছেন। মুকুলের বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ গ্রহণ করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনি বলেন, গেল দুই সপ্তাহ থেকে গাছে আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। মূলত আবহাওয়ার কারণে দেশিয় জাতের গাছে এই আগাম মুকুল আসা শুরু করেছে। এ সময় বিভিন্ন পোকামাকড় মুকুলের ক্ষতি করে। এ পোকা দমনে বালাইনাশক স্প্রে করলে তা আক্রমণ করতে পারে না। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে খুব ভালো ফলন পাওয়া যাবে। এলাকায়, রাংগু ও আম্রাপালীর বাম্পার ফলন হতে পারে এবার।

Exit mobile version