parbattanews

গাছে গাছে পানছড়ি সাজাতে চায় বৃক্ষ প্রেমিক হালিম

আমি গাছের সাথে মিশে আছি। ঘুম ভাঙলেই ছুটে আসি কলমে গজানো চারাগুলো কি অবস্থায় রয়েছে তা দেখতে। ২০০৬ সালে থেকে মুহুর্তের জন্যও অন্যত্র যেতে পারিনি গাছের মায়ায়। আমার প্রাণের সাথে মিশে আছে গাছ আর গাছের সাথে মিশে আছি আমি। এভাবেই মনের কথাগুলো জানানেল বৃক্ষ প্রেমিক মো: আবদুল হালিম। সে মোহাম্মদপুর গ্রামের মো: এরশাদ আলীর ছেলে।

ইতিমধ্যে হালিম পানছড়ির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির ও গীর্জার নামের তালিকা প্রস্তুত করে শুরু করেছেন বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর মিশন। সম্পুর্ন নিজের অর্থায়নে শুরু করা এই মিশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মনে স্ব:স্তি ফিরবেনা বলেও জানালেন। তার মহতী উদ্যেগেকে স্বাগত জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আলাউদ্দিন শেখ।

লোগাং বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর এলাকায় চারা রোপন কর্মসূচীতে তারাও অংশ নেন। বিষয়টি সার্বিক তত্ত্ববধান করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

পানছড়ি বন বিভাগের ফরেষ্টার সঞ্জয় হাওলাদার জানান, তার ব্যক্তিগত এই উদ্যেগেকে আমরা স্বাগত জানাই। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, অর্থনৈতিক চাহিদা, ফলের চাহিদা ও পুষ্টি চাহিদা মেটাতে তার লাগানো গাছগুলো যথেষ্ট সহায়ক হবে।

গাউসিয়া নার্সারীর স্বত্তাধিকারী হালিম চারা কলম তৈরীসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর উচ্চতর প্রশিক্ষন গ্রহন করেছে। দীর্ঘ বছর ধরে সে বাবা-মাকে সাথে নিয়েই কাজগুলো করছে। বর্তমানে বিভিন্ন জাতের আমসহ প্রায় অর্ধলক্ষাধিক চারাকলম বাজারজাতের অপেক্ষায় রয়েছে বলে হালিম জানায়।

Exit mobile version