parbattanews

গারো পাহাড়ে সেনা বাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দিচ্ছে ভারত সরকার

Meghalaya

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক :

মেঘালয়ের গারো পাহাড়ে AFSPA- Armed Forces Special Powers Act-1958 (সেনা বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৫৮) প্রয়োগের সুপারিশ নিয়ে বিবেচনা করছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। বিশেষ করে সেখানে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় শীঘ্রই কঠোর আইন প্রয়োগ করতে পারে। খবর : দৈনিক যুগশঙ্খ।

উল্লেখ্য মেঘালয়ের গারো পাহাড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সেখানে AFSPA বলবৎ করার বিষয়ে মেঘালয় হাইকোর্ট সুপারিশ করেছে। গত ২ নভেম্বর সোমবার হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ AFSPA বিবেচনা করে প্রয়োগ করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এই নিয়ে বিশেষ কোন মন্তব্য করতে রাজি নয়।

ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব এম এ গণপতি জানিয়েছেন, ‘গারো পাহাড়ে AFSPA প্রয়োগ করতে হাইহোর্টের সুপারিশের খবর এসেছে। কিন্তু এ বিষয় নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে পর্যালোচনা হওয়ার পরেই মন্তব্য করা সম্ভব হবে।’

তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘এই ইস্যু নিয়ে আবার কেউ সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছে যেতে পারে। তাই আমাদের হাতে মোট ৩০ দিন সময় রয়েছে। এর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করা যেতে পারে।’

তবে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অপর এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘AFSPA প্রয়োগ করতে হাইকোর্ট যেখানে নির্দেশ দিয়েছেন তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। কারণ উত্তর-পূর্ব ভারতের গারো পাহাড়সহ আরও কিছু এলাকায় AFSPA-র মতো কঠোর আইন প্রয়োগের আবশ্যকতা রয়েছে। গারো পাহাড় এলাকায় অন্তত তিন মাসের জন্য AFSPA বলবৎ করে সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।’

ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, ‘নিশ্চিৎভাবেই গারো পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সেখানে সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে, সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনেরও অসহায় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারকে সেখানে AFSPA প্রয়োগ করতে নির্দেশ দেওয়া ছাড়া হাইকোর্টের কাছে বিকল্প কোন রাস্তা ছিল না।’

প্রসঙ্গত, সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে কোন পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার এবং গুলি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনীকে। কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের যেসব রাজ্যে এই আইনটি কার্যকর রয়েছে সেখানকার মানুষ এর বিরোধীতা করছে শুরু থেকেই। বিশেষ করে মণিপুরের ‘লৌহমানবী’ খ্যাত ইরম চানু শর্মিলা ২০০০ সালের ২ নভেম্বর থেকে অর্থাৎ ১৫ বছর ধরে এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনশন করছেন।

Exit mobile version