parbattanews

গিনেস রেকর্ডে নাম লেখালেন বান্দরবানের প্রেন চ্যুং ম্রো

বান্দরবান সদরের প্রেন চ্যুং ম্রো গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন। সে পা দিয়ে এক মিনিটে সর্বোচ্চ ২০৮ বার ফুটবল ট্যাপ (Toe ap) করে এ রেকর্ড অর্জন করেন । বর্তমানে প্রেন চ্যুং ম্রো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে পাঠানো স্বীকৃতিমূলক ই-মেইল গত বুধবার (২ নভেম্বর) হাতে পেয়েছেন প্রেন চ্যুং ম্রো।

জানা যায়, এর আগে ঢাকার মুন্তাকিমুল ইসলাম নামে এক যুবকরে এক মিনিটে সবচেয়ে বেশি বার পা দিয়ে ফুটবল ট্যাপ করার রেকর্ডটি ছিল । তিনি ১ মিনিটে ২০৭ বার ফুটবল ট্যাপ করেছিলেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এই রেকর্ডটি করেন তিনি। বর্তমানে ৩০ সেকেন্ডে সর্বোচ্চবার (১০৭ বার) ফুটবল ট্যাপ করার রেকর্ডটিও তার দখলে।

প্রেন চ্যুং জানান, তিনি যখন এই রেকর্ডটি করার চিন্তা করেন তখন এটি কুমিল্লার কনক কর্মকারের দখলে ছিল। কনক এক মিনিটে ১৯৭ বার ফুটবল ট্যাপ করেছিলেন। কনক কর্মকারের এই এই রেকর্ডটি দেখার পর থেকে তিনি তা ভাঙার মনস্থির করেন এবং অনুশীলনে নেমে পড়েন। অনুশীলনের দুই দিনেই তিনি কনক কর্মকারের সেই রেকর্ড ভাঙার সক্ষমতা অর্জন করেন।

এরপর, এ বছরের ৩ মে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ‘মোস্ট ফুটবল (সকার) টু ট্যাপস ইন ওয়ান মিনিটস’ ক্যাটাগরিতে কুমিল্লার কনক কর্মকারের রেকর্ড ভঙ্গ করার আবেদন জানিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন। আবেদনের প্রায় এক মাস পর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ সাড়া দেয়। তারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নির্দেশনা জানায়। সেই নির্দেশনা মেনে গত ২৪ এপ্রিল তিনি ১ মিনিটে পা দিয়ে সর্বোচ্চবার (২০৮) ফুটবল ট্যাপ করার ভিডিও করে ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি সংযুক্ত করে গিনেস কর্তৃপক্ষকে পাঠান। এর মধ্যে আবার ঢাকার মুন্তাকিমুল ইসলাম কনক কর্মকারের রেকর্ড (১৯৭ বার) গেঙে ১ মিনিটে ২০৭ বার ফুটবল ট্যাপ করে রেকর্ড করেন।

এরপর দীর্ঘ ৬ মাসেরও বেশি সময় পর যাচাই বাছাই করে গত বুধবার (২ নভেম্বর) তারা প্রেন চ্যোং ম্রোর রেকর্ডটির (১ মিনিটে ২০৮ বার) স্বীকৃতি দেন এবং গিনেসের ওয়েবসাইটে রেকর্ডটি অন্তর্ভুক্ত করেন। তবে স্বীকৃতিপত্র হাতে পেরে আরো কিছুদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রেন চ্যুং।

এ বিষয়ে অনুভূতি জানিয়ে প্রেন চ্যুং ম্রো বলেন, দীর্ঘ ৬ মাস অপেক্ষার পর এই রেকর্ড হোল্ডার হতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। আমি সবসময় এমন কিছু করতে চেয়েছি যেটা আমার এবং জাতির জন্য নতুন কিছু হবে। আমি চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এ সম্ভবত আমাদের পাহাড়িদের থেকে এখন পর্যন্ত কেউ নেই। তাই এই চ্যালেঞ্জ টা নিয়েছি। সবকিছু নিজের চেষ্টায় করেছি, শেষমেশ সেটার ফল ও পেয়েছি। আমি ভেবেছিলাম এটা হবে না তাই আরো ২-৩ টা রেকর্ড প্র‍্যাক্টিস অফ করে ফেলছিলাম। তবে রেকর্ড টা হয়ে গেল। এই রেকর্ডটা আমার অনুপ্রেরণা হবে পরবর্তী আরেকটা নতুন রেকর্ড ভাঙ্গার জন্য।

Exit mobile version