সারাদেশের ন্যায় যথাযথ মর্যাদায় খাগড়াছড়ির গুইমারায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে প্রদর্শনী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) শহীদ মিনারে প্রত্যুষে ২১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। পরে গুইমারা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়।
মহান স্বাধীনতা দিবসে গুইমারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসন, গুইমারা থানা, অফিসার্স ক্লাব, মুক্তি যুদ্ধ সংসদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এতে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব চৌধুরী। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেমং মারমা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল আমিন, গুইমারা লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী প্রিয়াংকা সরকার, গুইমারা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নাজিম উদ্দিন, মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবলু হোসেনসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দসহ সংবাদ কর্মীরা।
এসময় অতিথিরা বক্তব্য বলেন, আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের দিন, পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন। দীর্ঘ পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের মাঝে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ ও চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এরপর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
প্রতি বছরের মতো এবারও সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস পালিত হচ্ছে জাঁকজমকপূর্ণভাবে। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি পালন করছে।
