গুইমারায় সহিংসতার ঘটনায় ৫ মামলা হলেও এখনো আটক হয়নি কেউ


খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার রামছু বাজারে জুম্ম ছাত্র জনতা ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বাড়ছে। পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে ভয় ও অনিশ্চয়তা।
গুইমারা সহিংসতায় থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। মামলাতে প্রায় ৩শতাধিক জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ৭০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে আরেকটি মামলা করা হয়। তবে এসব মামলায় এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী বলেন, “ঘটনার পর গুইমারা থানায় চারটি মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”বর্তমানে গুইমারার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
তবে ভিন্ন কথা বলছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা। তারা বলেন, তদন্তের ধীরগতিতে তারা হতাশ। “যারা আগুন দিয়েছে বা উসকানি দিয়েছে, তাদের কাউকে ধরা হয়নি। আমরা বিচার চাই, নিরাপত্তা চাই।”
উল্লেখ্য গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সিঙ্গিনালায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র জনতা সংগঠন ২৮ সেপ্টেম্বর অর্ধদিবস সড়ক অবরোধের ডাক দেয়। অবরোধ চলাকালে দুপুরে গুইমারার রামছু বাজার এলাকায় জুম্ম ছাত্র জনতা ও স্থানীয় বাঙালি জনতার মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের পরপরই প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।