parbattanews

গুইমারায় অবৈধ ভাবে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির দায়ে প্রধান শিক্ষককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

সুশীল রঞ্জন পালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

খাগড়াছড়ির গুইমারায় দৃষ্টিনান্দনিক পাহাড় অবৈধভাবে স্ক্যভেটার দিয়ে কাটা ও মাটি বিক্রির দায়ে সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশীল রঞ্জন পালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। রিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত পাহাড় কাটাসহ যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করো হয়েছে।

দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকাসহ বিভিন্ন অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর সোমবার সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের আওতাধীন নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মাসুদ রানা ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে পুলিশ, গুইমারা উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় একটি স্ক্যাভেটর ও দুইটি ট্রাক গাড়ি জব্দ করা হয়। পরে অনুমতি ব্যতিত পাহাড় কাটা আইন ২০১০ এর ধারা মোতাবেক পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপরদিকে র্নিবাহী মেজিস্ট্রেট মাসুদ রানার উপস্থিতিতে পাশ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন মৌখিক অভিযোগ করেন কর্তনকৃত ওই পাহাড়ে তাদের রেকর্ডীয় জায়গা রয়েছে। তাঁরা জায়গা পরিমাপসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন গুলো রক্ষার অনুরোধ জানান।

তারা বলেন, রের্কড অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা তিন একর । এর মধ্যে এক একর পাহাড় ,দুই একর মাঠ। কিন্তু বর্তমানে পাহাড়ের অনেক জায়গা উচ্চ বিদ্যালয়ের দখলে রয়েছে যা পরিমাপ করা প্রয়াজন।

অভিযান পরিচালনাকারী ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেন, দেশের আইন সকলের জন্য সমান।অবৈধ ভাবে পাহাড় কাটার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সুশীল রঞ্জন পালনিজে থেকে দোষ স্বীকার করায় এবং ভবিস্যতে এভাবে আর কোন পাহাড় কাটবেনা মর্মে মুছলেখা দেওয়ায় পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রাথমিক ভাবে তাকে সর্তক করা হয়েছে ।জরিমানাকৃত টাকা পরিশোধ করায় জব্দকৃত গাড়ি ও ট্রাক গুলো মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা র্নিবাহী কর্মকর্তা বিভীষন কান্তি দাশ বলেন, প্রধান শিক্ষক একটি অডিটরিয়াম ভবন তৈরির জন্য কাজ করবেন বলেছেন, তবে পাহাড় কাটা বা মাটি বিক্রির বিষয়ে কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। কেও অনুমতি ব্যতিত পাহাড় কাটলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মোবাইল র্কোট পরিচালনা করা হবে।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, পাহাড় ধসরোধে ,পাহাড় কাটার বিষয়ে তিনি সচেতন রয়েছেন।পাহাড় কাটার বিষয়ে তথ্য পেলে এ ধরনের অভিযান সবসময় অব্যাহত রাখবেন।

Exit mobile version