parbattanews

গুইমারায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার, গ্রেফতার ১

খাগড়াছড়ির গুইমারায় ৮ম শ্রেণি পড়ুযা ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণের মামলায় স্থানীয় মসজিদের ইমাম মো. ইয়াছিন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে গুইমারা থানা পুলিশ। গ্রেফতার ইয়াছিন (২২) গুইমারা কবুতরছড়া এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে।

ভুক্তভোগী একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে এবং কবুতরছড়া মক্তবের ছাত্রী।

পুলিশ ও মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, কবুতরছড়া স্থানীয় জামে মসজিদে চার-পাচঁ মাস  ইমামতি করছেন ইয়াছিন। সিরাজুল ইসলামের মেয়ে প্রতিদিন সকালে তার কাছে কোরান শিক্ষার জন্য আসতো। এ সুযোগে গোপনে প্রেমের সম্পর্ক করার চেষ্টা করে ইয়াছিন। গত ২১ মার্চ রাতে বিয়ের প্রলোভনে তাকে এনে (মসজিদের পাশে) তার থাকার ঘরে তিনদিন পর্যন্ত আটকে রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। তিন দিন পর স্থানীয় লোকজন সহ ভুক্তভোগী মেয়েকে উদ্ধার করে। থানায় মামলা করেন তার পিতা সিরাজুল ইসলাম। মামলার পর থেকে ইয়াছিন পলাতক ছিলেন।

অপরদিকে মামলাটি প্রথমে টাকা দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন গ্রেফতার ইয়াছিনের মা মাহমুদা বেগম। পরে নিজের ছেলেকে বাচাঁতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানি, চুরিসহ নানা মিথ্যা অভিযোগ তোলে। খাগড়াছড়ি আদালতে মামলা দায়ের করার
চেষ্টা করেন মাহমুদা। আদালত বিষয়টি অবগত হয়ে মামলাটি খারিজ করে দেন। এরপর পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন এই মহিলা।

এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী, গ্রাম সর্দার ও মসজিদ কমিটির লোকজন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সার্বিক সহযোহিতা করেন।

স্থানীয় বেশ কয়েক জন মুসল্লি জানান, ছোট হলেও ঈমাম হিসেবে তার পিছনে নামাজ পড়েছেন তারা। মুসলিম পরিবারের সন্তান, একজন ইমামা মসজিদের পাশের রুমে এমন জগন্য কাজ করেছে। যা মুসলিম ও আলেম সমাজকে কলঙ্কিত করেছে। তাছাড়া সিরাজুল ইসলামের পরিবারের প্রতি অমানবিক ও হৃদয় বিধারক ঘটনা এটা। তারা ঘটনায় ইয়াছিনের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।

সিরাজুল ইসলাম জানান, তার মক্তব পড়ুয়া নাবালিকা মেয়েকে নানান প্রলোভন দেখিয়ে নিজের ইচ্ছামত ধর্ষণ করেছে ইমাম নামধারী ওই ইয়াছিন। থানায় মামলা করার পর তাকে ও তার পরিবারের লোকজনকে রাজনৈতিক নেতা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও অনেক হয়রানি করেছে। তিনি এটার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন ।

এ বিষয়ে গুইমারা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, মামলার পর থেকে পলাতক ছিলো ইয়াছিন। দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করতো সে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও অনেক চেষ্টা করে এসআই কামরুল ইসলামে নেতৃত্বে গুইমারা থানার পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন রকম ফাদঁ পেতে তাকে করের হাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার কোর্ট হাজতে তাকে প্রেরণ করা হয়েছে ।

Exit mobile version