খাগড়াছড়ি গুইমারা থেকে দুই সন্তানের জননী আমুই মারমা (২৬)নামে এক নারী নিখোঁজের বিষয়ে থানায় ডায়েরী হয়েছে। সে উপজেলা রামসুবাজার এলাকার মংতুকার্বারী পাড়ার অংগ্য মারমার মেয়ে। নিখোঁজ আমুই মারমার বড় বোন উমাপ্রু মারমা সকল নিকটতম আত্মীয়ের বাড়ি খোঁজাখুঁজির পর এ ঘটনায় গুইমারা থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করেছেন।
বড় বোন উমাপ্রু মারমার জানান, গত ৮এপ্রিল আমুই মারমা গুইমারা রামসুবাজার সড়কে দৈনিক শ্রমিক হিসেবে কাজে যায়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কাজ শেষে বেতনের টাকা নিয়ে মেয়ের জন্য ঔষধ কিনতে গুইমারা বাজারে যায়। এরপর আর বাড়িতে ফিরে না আসায় আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজা খুঁজি করেন। সবশেষে গতকাল থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করেন।
এঘটনায় ইউপিডিএফের আঞ্চলিক সংগঠক নিশান চাকমা বলেন, ঠিকাদার তাজুল ইসলাম ও তার কাজের লোকজন নিজেদের হীন উদ্দেশ্যে আমুই মারমাকে নিয়ে গেছে ।তাজুল ইসলাম চাইলে যে কোন সময় মেয়েটাকে ফেরৎ দিতে পারে। মেয়েটাকে ফেরৎ না দিলে এলাকাবাসী তাদের রাস্তার কাজ করতে দিবেনা। তারা এখানে উপজাতী মেয়েদের নিয়ে এসব করছে।
অপরদিকে ঠিকাদার তাজুল ইসলাম জানান, শ্রমিকরা তাদের মাঝিদের মাধ্যমে কাজে আসে। কাজ শেষে বেতন নিয়ে চলে যায়। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তার পুরুষ কাজের লোকগুলো কাজেই আছে। পুলিশ যাচাই করেছে। তাকে অহেতুক দোষারোপ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে গুইমারা থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, নিখোঁজ ডায়েরী অনুযায়ী তদন্ত চলমান রয়েছে।