parbattanews

গুইমারায় খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে চুরি 

গুইমারা প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা ডাক্তার টিলার মৃত ফজল হক মাস্টারের বাড়িতে ৫ আগস্ট রাতে দুস্কৃতিকারীরা গোপনে খাবারের সাথে অচেতন করার জন্য নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে পরিবারের সকল সদস্যদের অচেতন করে তাদের স্বার্থ হাসিল করে।

জানা যায়, ৫ আগস্ট রাতে মৃত হজল হক মাস্টারের বাড়িতে রান্না করার সময়ে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে কচুর লতি তরকারির সাথে এই অচেতন করার দ্রব্য মিশানো হয়। রান্না শেষে রাতে খাওয়ার পর পরিবারের সকল সদস্য মাতালের মত অচেতন হয়ে পড়লে বাড়ি থেকে নতুন ক্রয় করা পালসার মোটর সাইকেল, মোবাইল, নগদ টাকা, স্বর্নালঙ্কাকরসহ দুস্কৃতিকারীরা তাদের মনের মত করে সবকিছু নিয়ে যায়।

অচেতনদের মধ্যে রয়েছেন মো. ইকবাল, মো, হাছান এবং তাদের স্ত্রীরা ও কাজের ছেলে রবিউল। বর্তমানে সবাই মাটিরাঙ্গা সদর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তবে মৃত মাস্টারের স্ত্রী গতকাল বাড়িতে না থাকায় এবং কাজের ছোট একটি ছেলে রাতে খাবার না খাওয়ার কারণে এই দুইজন সুস্থ আছে বলে সরজমিনে দেখা যায়।

তবে কে বা কারা এই দ্রব্য মিশিয়েছে এখনো সঠিক ভাবে জানা না গেলেও এলাকাবাসী প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার সাথে কোন না কোন নারী জড়িত আছে বলে ধারণা করছে।

গুইমারায় এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগে বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ঝর্ণা ত্রিপুরার বাড়িসহ পাঁচ পাঁচটি বাড়ি এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে এলাকাবাসীর মুখ থেকে জানা যায়। প্রকৃত আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় এমন ঘটনা দিনে দিনে বাড়ছে বলে মনে করে স্থানীয় অনেকে।

গুইমারা ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জনার্দন তার এলাকায় এমন ঘটনা নিয়ে দুঃখের সাথে বলেন, মানুষ নিজের বাড়িতে যদি নিরাপদ থাকতে না পারেন, এর চেয়ে দুঃখের আর কি হতে পারে! এমন ঘটনার অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক যাতে ভবিষ্যতে আর এমন ঘটনা না ঘটে।

গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ জোবায়েরুল হক এর কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ডাক্তার টিলার ঘটনা স্থলে স্ব-শরীরে গিয়েছি, অচেতন রোগীদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দিয়ে এসেছি এবং অবশিষ্ট খাবার নিয়ে এসেছি। অচেতন রোগীরা সুস্থ হলে তাদের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

Exit mobile version