parbattanews

গুইমারায় মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবা, চোলাই মদসহ আটক ৩

গুইমারা প্রতনিধি:

খাগড়াছড়ির গুইমারায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইয়াবা দিয়ে সিএনজি ড্রাইভারকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছে সাদ্দাম নামে এক মাদক ব্যবসায়ী।

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) জালিয়াপাড়া’র সিএনজি চালক মো. নুর ইসলামের সিএনজিতে ইয়াবা রেখে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলো স্থানীয় ইয়াবা ব্যবসায়ী সাদ্দাম।

জানা যায়, সাদ্দামের তথ্যমতে নুরুল ইসলামকে আটক করে গাড়িসহ থানায় আনে পুলিশ। কিন্তু ইয়াবা রাখার কৌশল এবং উপস্থিত সকলের বক্তব্য শুনে গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গিয়াস উদ্দিনের সন্দেহ হলে তিনি তাৎক্ষণিক চৌকস বুদ্ধিদীপ্ত তদন্তের মাধ্যমে আসল অপরাধীকে খুজে বের করার প্রত্যয়ে পুন:তদন্তে নামেন।

মঙ্গলবার দিনব্যাপী তদন্তের মাধ্যমে বিকেল বেলা প্রকৃত অপরাধী সাদ্দামকে ৫২ পিস ইয়াবাসহ আটক করতে সক্ষম হন নিষ্ঠাবান গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গিয়াস উদ্দিন। প্রকৃত অপরাধী সাদ্দামকে আইনের আওতায় এনে নিরাপরাধ সিএনজি ড্রাইভার নুর ইসলামকে ছেড়ে দেন তিনি।

জানা যায়, আটকৃত সাদ্দাম হোসেন জালিয়াপাড়ার মৃত আব্দুল লতীফের ছেলে।

বিষয়টি নিয়ে গুইমারা উপজেলার সর্বত্র আলোচনার ঝড় উঠেছে। স্থানীয় সিএনজি চালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অনেকে বলেন, পুলিশ নামে মানুষগুলোকে অনেকে ঘৃণার চোখে দেখা হত। আজ গুইমারা থানার ওসিকে দেখে মনে হচ্ছে, পুলিশের মাঝেও প্রকৃত মানুষ রয়েছে এখনও। তিনি আমাদের গুইমারায় নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

এ ধরণের সৎ, নিষ্ঠাবান পুলিশ অফিসার দেশের সকল থানায় প্রত্যাশা করে তারা বলেন,
ওনার এমন মহৎ কাজে সিএনজি সংগঠনসহ গুইমারার সাধারণ মানুষ অত্যন্ত খুশি।

এদিকে এ ঘটনার আগে মঙ্গলবার সকালে গুইমারা বাজার থেকে দেশীয় চোলাই মদসহ লোকমান হোসেন ও উপজাতি মহিলা উক্রা মার্মাকে আটক করেছে গুইমারা থানা পুলিশ।

এ সব বিষয়ে গুইমারা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. গিয়াস উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদকের কারণে আজ দেশের যুব সমাজ, আগামীর ভবিষ্যৎ ধ্বংসের পথে। তাই যতক্ষণ গুইমারা থানার দায়িত্বে আছি ততক্ষণ মাদকের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান থাকবে। গুইমারাকে মাদকমুক্ত করবোই ইনশাআল্লাহ। তবে কোন নিরাপরাধ ব্যক্তি শাস্তি পাক সেটা আমি চাইনা।

বর্তমানে যারা আটক হয়েছ, তাদের বিষয়ে মাদকদ্রব্য আইনে আলাদা আলাদা মামলা রুজু করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

Exit mobile version