parbattanews

গুইমারায় স্ত্রীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
স্ত্রী’কে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে সিন্দুকছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম (৩৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে জেলার গুইমারা থানার সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের বাজারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আজ দুপুর দুইটার দিকে পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

 পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানাযায়, গত কয়েক মাস পূর্বে সিন্দুকছড়ি এলাকার আবদুল মন্নান সওদাগর (মনা মোল্লা)র মেয়ে ১সন্তানের জননী স্বামী পরিত্যক্তা তাহমিনা বেগম(২৫) এর সাথে একই গ্রামের বাসিন্দা ৩ সন্তানের জনক স্থানীয় যুবলীগ নেতা রফিক মিয়ার পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দুই সংসারে তিন সন্তান থাকার পরও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গত তিন মাস আগে জোর পূর্বক তাহমিনাকে বিয়ে করে রফিক। বিবাহের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। অভিযোগ রয়েছে তাহমিনাকে জোর পূর্বক বিয়ে করলেও ঠিকমত ভরন-পোষন দেয়নি রফিক। তাহমিনা মানুষের ক্ষেতে খামারে দিনমুজুরের কাজ করে সংসার চালাতেন।

 রবিবার রাতে রফিক মোবাইল করে তাহমিনাকে বাজার খরচ করে দিবে বলে বাসায় নিয়ে আসে। পরে রফিক ও তার প্রথম স্ত্রী মিলে শ্বাসরুদ্ধ করে তাহমিনাকে হত্যা করে আত্মহত্যা  বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। গুইমারা থানা পুলিশের সাথে  সমঝোতা করে তাহমিনার লাশ দাফন করে ঘটনাটি দামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে  প্রভাবশালী মহল।

 তাহমিনার ৭বছর বয়সের কন্যা রামগড় সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এ এসপি মো. শাহজাহান হোসাইন’র কাছে দেওয়া জবান বন্দীতে রেব হয়ে আসে ঘটনার প্রকৃত রহস্য।

 এ বিষয়ে গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির আহাম্মেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত রফিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোটের উপর ভিত্তি করে পরবর্তি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Exit mobile version