parbattanews

গুইমারা উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙালি নারীর গলায় দা ধরে ধর্ষণের চেষ্টা

গুইমারা প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ির গুইমারায় উপজাতি সন্ত্রাসীদের দায়ের কোপে এক বাঙালী নারী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তার আগে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা নিরীহ ওই বাঙ্গালী নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

মঙ্গলবার (১০ জুলাই) সকাল ১০টার সময় গুইমারার উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের ষাটগ্রাম পাতাছড়া নামক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে বলে জানা যায়।

স্থানীয় ও অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, উপজাতি সন্ত্রাসীরা বিড়ি ধরানোর জন্য কুলসুম বেগম নামক এক বাঙ্গালী নারীর নিকট প্রথমে আগুন চাইলে স্বামীর অনুপস্থিতিতে কুলসুম ভয়ে তাদের আগুন দেয়। আগুন দিয়ে বিড়ি জ্বালানোর ফাঁকে কুলসুমকে বাড়িতে একা পেয়ে তারা একে অপরের সঙ্গে চোখের ইশারায় যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক একজন কুলসুম জড়িয়ে ধরে।

এ সময় কুলসুম তাদের বাধা দিলে অন্য এক উপজাতি সন্ত্রাসী জোরপূর্বক কুলসুম বেগম এর কোলে থাকা দুই বছরের শিশু সন্তান ওসমান গনিকে ছিনিয়ে নেয়।

বাকি দু’জন কুলসুমের গলায় ছুরি ধরে তাকে জবাই করার হুমকি দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে কুলসুম বেগম ভয় না পেয়ে তার শিশু সন্তানকে রক্ষার জন্য জীবনের ঝুঁকি নেয়। সে তার সন্তানকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য ধস্তাধস্তি করে।

এক পর্যায়ে উপজাতি সন্ত্রাসীরা ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে দা দিয়ে কোপ মারে কুলসুমকে। তাতে দায়ের আঘাত লাগে কুলসুমের কপালে। যার প্রেক্ষিতে কুলসুম নিজে আঘাত পেয়ে চিৎকার শুরু করে।

কুলসুমের আর্তচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে উপজাতি সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন তাকে এবং তার শিশু সন্তানকে উদ্ধার করে গুইমারা বিজিবি হাসপাতালে নিয়ে যায়। বিজিবি হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কুলসুমকে বাড়িতে নিয়ে যায় তার স্বামী।

এই ঘটনায় স্থানীয় পাহাড়ি বাঙ্গালীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। তবে ঠিক কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা না গেলেও বিষয়টি সকল স্থানীয়দের মাঝে শঙ্কা সৃষ্টি করছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

তবে এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো মামলা হয়নি।

Exit mobile version