গৃহদাহ ও বহিস্কারের ঝড় বইছে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপিতে
পার্বত্যনিউজ রিপোর্ট:
গৃহদাহে ও বহি:ষ্কারের ঝড়ো হাওয়া বইছে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপিতে। গত একমাসে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি, উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নয় সদস্য বহিস্কৃত হযেছে। কিন্তু তাতেও থামছেনা ঝড়। বরং গৃহদাহ দাবানলের পূর্বাভাস দিচ্ছে। বহি:স্কৃতরা একাট্টা হয়ে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে ঢাকায় এসে দৌড়ঝাঁপ করছে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতাদের দ্বারে দ্বারে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন, বিদ্রোহী প্রার্থিতা, দলীয় পদ পদবীর অসন্তোষ, ভবিষ্যৎ সরকারের বিভিন্ন সুবিধা প্রাপ্তির আগাম নিশ্চয়তা, আন্দোলনে অনুপস্থিতি, স্বেচ্ছাচরিতা, টেন্ডারবাজীসহ নানা অভিযোগে জেলা বিএনপিতে অন্ত:কোন্দল চরমে উঠেছে। আর এর অবশ্যম্ভাবী প্রতিক্রিয়া হিসাবে বইছে এই বহিস্কার ঝড়। সূত্রমতে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নের বিরোধিতা করে বিদ্রোহী প্রার্থি হওয়ায় জেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি বেলায়েত হোসেন ভুঁইয়াকে বহিস্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। বেলায়েত হোসেন ভুইয়া এই বহিস্কারাদেশ জাল করে জেলা বিএনপির সভাপতি ও তার অনুজ সহোদর ওয়াদুদ ভুইয়ার নামে পাল্টা বহিস্কারাদেশ তৈরী করে। পার্বত্যনিউজ কেন্দ্রীয় বিএনপি’র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর বরাত দিয়ে এই জালিযাতি ফাঁস করে।
এ ছাড়াও গত একমাসে মানিকছড়ি উপজেলা বিএনপি’র দুই সহসভাপতি আজাদ ও রবিউল ফারুক, দিঘীনালা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক বাচা, পানছড়ি বিএনপির প্রচার সম্পাদক কামাল হোসেন, গুইমারা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ আকন, মাটিরাঙ্গা মৎসদল সভাপতি বহি:স্কৃত হয়েছেন। সর্বশেষ গত ১৯ মার্চ বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত পৃথক দুই বহিস্কারাদেশে জেলা বিএনপি’র সহসভাপতি মনীন্দ্রলাল ত্রিপুরা ও আমিন শরীফকে বহিস্কার করা হয়েছে। শৃঙ্খলা ও দলীয় স্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে তাদের বহিস্কার করা হয় বলে দলীয় সূত্র উল্লেখ করেছে। দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রুহুল কবীর রিজভী পার্বত্যনিউজকে টেলিফোনে এ বহিস্কারাদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপিতে সমীরণ দেওয়ান আগে থেকেই ওয়াদুদ ভুইয়া বিরোধী হিসাবে চিহ্নিত। তার সাথে সাম্প্রতিক বহি:স্কৃত ও অসন্তষ্ট গ্রুপ একাট্টা হয়ে গত কয়েকদিন যাবত ঢাকায় অবস্থান করে ব্রিগ্রেডিয়ার হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল্লাহ আল নোমান, মে. জেনারেল(অব.) রুহুল আলমসহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎ করে বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ করে আসছিল।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মিল্লাত পার্বত্যনিউজকে বলেন, কেউ যদি দলীয় স্বার্থ ও শৃঙ্খলা বিরোধী কাজে লিপ্ত থাকে তাহলে তো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।