parbattanews

গেরিলা জীবন থেকে ফিরে আসা আনন্দ চাকমার পরিবারকে সেনাবাহিনীর পুণর্বাসন

মহালছড়ি প্রতিনিধি:

পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সাথে ৩৬ বছরের গেরিলা জীবনের সম্পর্ক ত্যাগ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার তাগিত ও সংবিধানের প্রতি আস্থা রেখে সেনাবাহিনীর মহালছড়ি জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ মোসতাক আহমদ পিএসসি’র কাছে অস্ত্র ও গুলিসহ আত্মসমর্পণ করা ইউপিডিএফ নেতা ও দীঘিনালা উপজেলার ভৈরবা নয়া পাড়ার বাসিন্দা আনন্দ চাকমা ওরফে পরিচিত চাকমার পরিবারকে পুনর্বাসন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

গত বছরের ৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করা আনন্দ চাকমা গত বছর ৭ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে, গেরিলা জীবন ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পর নিজের ও পরিবারকে নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সরকারের কাছে নিরাপত্তা ও পুনর্বাসনের দাবি জানান।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড ও খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হকের নির্দেশে ও মহালছড়ি জোনের সার্বিক তত্বাবধানে আত্মসমর্পণ করা আনন্দ চাকমাকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির ব্যবস্থা ও তার মেয়ে আরতি চাকমা (৩৬) কে খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের অফিস সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সেনাবাহিনী। এছাড়া আনন্দ চাকমার ছেলে পুলিশ বাহিনীতে চাকরিরত রয়েছে বলেও জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহালছড়ি জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ মোসতাক আহমদ পিএসসি জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসীদলের সদস্য জন্য স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পথ খোলা রয়েছে। যেসব সন্ত্রাসী গেরিলা জীবন প্রত্যাহার করে দেশ, দেশের সংবিধান বিশ্বাস করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে সরকার তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেবে।

Exit mobile version