গ্রাহকের টাকা ও বন্ধকী স্বর্ণ নিয়ে আত্মগোপনে পেকুয়ার স্বর্ণ ব্যবসায়ী পরিতোষ

এম জুবাইদ, পেকুয়া : পেকুয়ার স্বর্ণ ব্যাবসায়ী পরিতোষ গ্রাহকদের টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে আত্মগোপন করেছে বলে অভিযোগ উঠছে।

গত ২৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের হাজারী গলি এলাকায় স্বর্ণ বিক্রি করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে বলে প্রথমে জানানো হয়। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ডায়রি নং ৮২৯/১৩ তারিখ: ২৪/১২/২০১৩ইং।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, পরিতোষ ধর পেকুয়া আলজাহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের আজমীর জুয়েলার্সের মালিক। তিনি লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ মঙ্গলনগর এলাকার দীনবন্ধু ধরের পুত্র। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পেকুয়া বাজারে স্বর্ণ ব্যবসা করে আসছিলেন।

আত্মগোপনে থাকা স্বর্ণ ব্যবসায়ী পরিতোষের সম্মন্ধি মৃণাল ধর জানান, পরিতোষ ধর পেকুয়া থেকে স্বর্ণ বিক্রি করার জন্য চট্টগ্রামের হাজারী গলি এলাকায় যান এবং সেখানে স্বর্ণ বিক্রি করে নগদ টাকা নিয়ে ফেরার পথে নিখোঁজ হন। তিনি মনে করেন, আগে থেকে টার্গেট করে তার ভগ্নিপতিকে টাকার লোভে অপহরণ করা হয়েছে। নিখোঁজ হবার পর থেকে তার মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম থেকে গাড়ীতে উঠার সময় তার সাথে শেষ কথা হয়, কিন্তু পেকুয়ায় ফিরতে দেরী হওয়ায় তাকে ফোন করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে তারা পেকুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদক কে জানান, এ ব্যাপারে পেকুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তবে ঘটনার সত্যতা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

তবে এলাকাবাসীর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, স্বর্ণ ব্যবসায়ী পরিতোষের কাছে  পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব মোকতার আহমদ চৌধূরীর স্ত্রীর  ১৫ ভরি স্বর্ণ, আব্দুল হামিদ সিকদার পাড়ার মো: ইসমাইলের ৪ ভরি স্বর্ণ, আমিরাদ এলাকার রণধরের ১২ লাখ টাকা, পেকুয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ৭ লাখ টাকা, পেকুয়া সিকদার পাড়া এলাকার প্রবাসী মোজাম্মেল হকের ১৪ লাখ টাকা, সাবেক গুলদি এলাকার ফজল করিমের তিন লাখ টাকা নিয়ে আত্মগোপন করেছে।

এছাড়াও পরিতোষের কাছে আরো গ্রাহকদের স্বর্ণ ও আমানত রয়েছে বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানা গেছে। এ দিকে পরিতোষ নিখোঁজ না আত্মগোপন সে বিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া উপজেলা জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক পীযুষ ধর জানান, এ পর্যন্ত অর্ধশত লোক তাদের স্বর্ণ ও আমানত নিয়ে পরিতোষ ধর আত্মগোপন করেছে বলে অভিযোগ দিয়েছেন। এখন ভুক্তভোগীরা পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন