parbattanews

ঘন কুয়াশা, গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টি ও গুমোট আবহাওয়ার কবলে পড়ে লবণ উৎপাদন ব্যাহত

10893762_802823013121551_1757119931_n

স্টাফ রিপোর্টার :

গত দু’দিনের শৈত্য প্রবাহ ও গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টিতে গুমোট আবহাওয়ার কারণে মৌসুমের শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে মহেশখালীর লবণ শিল্প। ফলে লবণ শিল্পের সাথে জড়িত চাষি, ব্যবসায়ি ও শ্রমিকরা লোকসানের মুখে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

চলতি মৌসুমে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীসহ জেলার ৭ উপজেলার উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৬৯ হাজার একর জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে লবণ উৎপাদন শুরু হয়ে দু’এক চালান লবণও তুলেছেন চাষিরা। এমতাবস্থায় গত দু’দিনের ঘন কুয়াশা, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে গুমোট আবহাওয়ায় থমকে গেছে লবণ উৎপাদন। ১ জানুয়ারীও সারাদিন আকাশ মেঘলা থাকায় হতাশ হয়েছে লবণ শিল্প সংশ্লিষ্ট লোকজন।

দেশের বৃহত্তম লবণ উৎপাদন জোন খ্যাত কক্সবাজার জেলার ৭ উপজেলাসহ বাঁশখালীর লবণ শিল্প থেকে প্রতিবছর হাজর হাজার কোটি টাকা জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ হয়। লবণ প্রক্রিয়াজাতকরণে কক্সবাজারের ইসলামপুর, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া এলাকায় স্থাপিত হয়েছে ৫৮টি লবণ মিল কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় উদ্যোক্তা ছাড়াও দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্প গ্রুপ সমূহ এখানে বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু মৌসুমের প্রারম্ভেই বিরুপ আবহাওয়ায় উৎপাদন বিঘ্নিত হওয়ায় তাদের বিনিয়োগ নিয়ে আশঙ্কা করছেন লবণ মিল মালিকরা। একই সাথে কারখানাগুলোতে কাচাঁমাল সংকটে পড়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মহেশখালীর হোয়ানকের হেতালিয়া ঘোনার লবণ চাষী তোফাইল আহমদ টিপু বলেন, লবণ মাঠে ঢুকানো সমুদ্রের লোনা পানি উৎপাদনের জন্য কয়েক পর্যায়ে প্রক্রিয়াজাত বায়ু প্রবাহ ও প্রখর রৌদ্র তাপের দরকার। কিন্তু গত কয়েক দিনের ক্রমাগত শৈত্যপ্রবাহজনিত গুমোট আবহাওয়া ও আজকের বৃষ্টির ফলে প্রকৃয়াকৃত পানি নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থা বিরাজমান থাকলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে না। আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে উৎপাদন উপযোগী না হওয়া পর্যন্ত অলস সময় কাটাতে হচ্ছে জেলার লবণ শিল্প সংশ্লিষ্টদের।

Exit mobile version