parbattanews

ঘুমধুমের বিভিন্ন স্থান থেকে পাহাড় কেটে মাটি ও বালি পাচার অব্যাহত

উখিয়ার পাশ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের আজুখাইয়া মগঘাট, বড়বিল, মোরাপাড়া, বড়ুয়াপাড়া, পশ্চিমপাড়া,পূর্বপাড়াসহ বেশ কয়েকটি স্থান থেকে পুরোদমে পাহাড় কেটে মাটি ও বালি পাচার অব্যাহত রেখেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট।

সরকার দলের প্রভাব বিস্তার করে এই সিন্ডিকেট পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ চালিয়ে গেলেও প্রশাসনেরর কোন খবর নেই।

সরজমিন ঘটনাস্থল ঘুরে এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঘুমধুম আইজুখাইয়া, বড়বিল, কচুবনিয়া এলাকার কয়েকটি বন সম্পদ ধ্বংসকারী সিন্ডিকেট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতদিন শতশত ডাম্পার মাটি ও বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে পাহাড় ও ছরা থেকে। এসব মাটি ও বালি ব্যবহার হচ্ছে সরকারি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে।

ঘুমধুম বড়বিল পুর্বপাড়া এলাকার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি জানান, গত ৩ মাস ধরে বেপরোয়া ভাবে সরকারি পাহাড় কেটে মাটি ও বালি পাচার করে যাচ্ছে কতিপয় প্রভাবশালীরা। অনেকে বিষয়টি জানার পরেও ভয়ে, আতঙ্কে তাদের বিরুদ্ধে মূখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।

বর্তমান স্থানীয় এক ইউপি সদস্য অভিযোগ করে বলেন, এক শ্রেণীর পরিবেশ ধ্বংসকারী সিন্ডিকেট কোন কিছু তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন পাহাড় থেকে মাটি ও বালি উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছে। এখন সঙ্গত কারনে কারো বিরুদ্ধে বলা যাচ্ছেনা।

সংরক্ষিত ইউপি মেম্বার ফাতেমা বেগম দীর্ঘদিন মগঘাট এলাকার কতিপয় লোকজন প্রতিদিন বালি উত্তোলন করে গেলেও কারো কোন খবর নেই অভিযোগ করে বলেন । এখন অনেকে বিষয়টি জানলেও মুখ খুলতেছেনা। অথচ এসব কাজ কারা করে এলাকার সবাই জানে।

বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক একেএম শামীমুল আলম খুরশি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ব্যতিত কেউ পাহাড়ে মাটি অথবা বালি উত্তোলন করে থাকলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Exit mobile version