parbattanews

ঘুমধুমে আপত্তিকর অবস্থায় এক নারীসহ সৌদি প্রবাসী আটক

উখিয়ার পাশ্ববর্তী ঘুমধুমে আপত্তিকর অবস্থায় এক নারীসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছে সৌদি প্রবাসী হামিদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তাকে সোমবার রাত ২টার দিকে অভিযানে নেমে রাত ৪টার সময় এক নারীসহ তার নিজস্ব ভবন (বাড়ি) থেকে আটক করেছে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি অভিযানিক দল।

হামিদ হোসেনের বাস ভবন ঘেরাও করে রেখে শত-শত স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় ওই ষোড়শী নারীর মাতা খোরশিদা আক্তারের অভিযোগে তাদেরকে উদ্ধার এবং আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইমন কান্তি চৌধুরী।

পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যেক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঘুমধুম এলাকার মৃত হাসু মিয়ার ছেলে, সৌদি প্রবাসী ঘুমধুম বেতবুনিয়াস্থ তাঁর নিজস্ব বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী এনে আমোদফূর্তি করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ঘুমধুম জলপাইতলী এলাকার জনৈক নুরুল কবিরের ষোড়শী এক কন্যাকে সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে রুমে ঢুকে।

এঘটনা স্থানীয়রা জেনে গেলে বিকেল ৫টা থেকে ওই দালান বাড়ি ঘিরে রাখে। সোমবারে সকালে এনজিওর চাকরীতে যাওয়া ওই ষোড়শী মঙ্গলবার রাত ১টা পর্যন্ত ঘরে না ফেরায় তার মাতা খোরশিদা আক্তার হামিদ হোসেনের দালানে এসে নিজ কন্যাকে উদ্ধারে তৎপরতা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ বরাবর উদ্ধারের আকুতি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশের উপ-পরিদর্শক এনামুল হক ও মিন্টু’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপস্থিত শত-শত জনতার সহযোগিতায় ষোড়শী কন্যাকে উদ্ধার ও প্রবাসী হামিদ হোসেন (৫৫) কে খাটের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে থাকাবস্থায় আটক করা হয়।এঘটনায় ঘুমধুমের সর্বত্র  মুখরোচক আলোচনার ঝড় উঠেছে।

ঘুমধুম ইউপির মেম্বার আব্দুল করিম জানান, ওই ষোড়শীকে উদ্ধার এবং নিজের বাস ভবন থেকে আপত্তিকর অবস্থায় হামিদ হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। সাথে তিনিও ছিলেন বলে জানান। ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইমন কান্তি চৌধুরী জানিয়েছেন, উদ্ধার করা ষোড়শী এবং আটক হামিদ হোসেনকে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওসি সাহেব এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

Exit mobile version