parbattanews

ঘুমধুমে টাকা, স্বর্ণালংকার ও কণ্যা শিশুসহ গৃহবধূ উধাও

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমে টাকা, স্বর্ণালংকার ও ২ বছরের মেয়েসহ উধাও হয়েছেন ফারজানা  আক্তার ইমু নামের এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় ৬মার্চ থানায় মৌখিক অভিযোগ করেছেন স্বামী মোহাম্মদ আমিন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম হেডম্যান পাড়া গ্রামের দোবাসী নুর মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ আমিনের(২৭) সঙ্গে বিয়ে হয় নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী থানাধীন আমিশাপাড়া ইউনিয়নের আমজাদ ব্যাপারী বাড়ির মৃতঃ আমির হোছনের কন্যা ফারজানা আকতার ইমুর(২৪)। এ দম্পতির সংসারে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। ভুক্তভোগী মো. আমিন একটি এনজিও সংস্থায় চাকরি করেন। বিয়ের পর থেকে প্রতি মাসে স্বামীর আয়ের অর্ধেক অংশ জমা করবে বলে স্ত্রী ফারজানা রেখে দিত। এভাবে সংসার ভালোই চলছিল।

গত ৫মার্চ রাতে স্বামী/স্ত্রী দু’জন পার্শ্ববর্তী থাইংখালী এলাকায় একটি বিয়েতে অংশগ্রহণ শেষে স্ত্রী ফারজানাকে বাড়িতে দিয়ে স্বামী মোহাম্মদ আমিন চাকরিতে (নাইট ডিউটি) চলে যায়। পরদিন ভোরে আমিনের মা অর্থ্যাৎ ফারজানার শাশুড়ী ফজরের নামাজ পড়তে উঠে ঘরের দরজা খোলা দেখে চিৎকার করে ততক্ষণে বাড়ির সবাই জেগে উঠে কিন্তু অনেক পুত্র বধু ফারজানা ও নাতনিকে দেখতে না পেয়ে রুমে ডুকে দেখেন সুটকেসে রক্ষিত ১লাখ টাকা ৭ ভরি স্বর্ণ, দামী কাপড় চোপড় নেই। তৎক্ষনাৎ ছেলে আমিনকে কল দিয়ে ফারজানাকে খুঁজে পাওয়া ও জিনিসপত্র নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার বিষয়টি জানান। আমিন স্ত্রীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানতে পারে স্ত্রী বাপের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। আমিন আরো খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন পালিয়ে যাওয়ার আগের দিন বিয়ে বাড়ি যাওয়ার নাম করে পাশের বাড়ির হাছিনা, হালিমা, বুলবুল আক্তার থেকে গহনা চেয়ে নেয় স্বামীর অগোচরে! ফারজানা যাওয়ার সময় তাও নিয়ে গেছে বলে জানান স্বামী মোহাম্মদ আমিন।

ফারজানা নিখোঁজের বিষয়টি তাঁর পরিবারকে জানানো হলে ফারজানার মা কহিনুর বেগম, বড় ভাই মোজাম্মেল হক বাবু, বড় বোন জেসমিন আকতার, বড় ভাবি হাছিনা বেগম উল্টো আমিনকে হুমকি দেয় এবং নিয়ে যাওয়া জিনিসপত্র ফেরত দেবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান স্বামী মোহাম্মদ আমিন।

Exit mobile version