parbattanews

ঘুমধুম সীমান্তে চিকিৎসাহীনতায় ভুগছে রোহিঙ্গা শিশুরা

ঘুমধুম প্রতিনিধি:

নাইক্ষ্যংড়ির ঘুমধুম সীমান্তের জিরো পয়েন্টে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের কয়েক শতাধিক শিশু অসুস্থ্য হয়ে মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ৩/৪ দিন পায়ে হেটে পাহাড়ি পথ, কখনো নদী বা জলাশয়, আবার দীর্ঘ নদীর পানি বেয়ে এপারে আসে তারা।

এপারে এসেও স্থীর নেই। কখনো বিজিবির হাতে অবরুদ্ধ, কখনো দালাল-ফড়িয়ার খপ্পরে পড়ার শঙ্কা, আবার মিয়ানমারে ফেলে আসা স্মৃতি সামনে আনা। নানা ব্যথায় জীবনমান বিপর্যস্ত পরিস্থিতি এসব রোহিঙ্গা শিশুদের। রোদে পুড়ছে, বৃষ্টিতে ভিজছে, পরনের কাপড় শোকাতে আবার লেংটাও হচ্ছে। নানা বিপর্যয়ের কারণে রোগ -শোকে সংগ্রাম করে টিকে থাকার যন্ত্রণা তাদের।

রবিবার সন্ধ্যায় ঘুমধুম সীমান্তের বাঁশ বাগানের জিরো পয়েন্টে আশ্রিত কয়েকজন শিশুর করুন পরিস্থিতির কথা মেলে। শিশু ফজল কবির (৮) বাবা নুরুল কবির, মাতা -নুর কায়েস, মিয়ানমারের মংডু টাউনশীপের কাছাকাছি খেয়ারিং প্রাঙ্গণে থেকে এসেছেন। এপারে পৌঁছাতে ৩দিন মিয়ানমার অভ্যান্তরে হাঁটতে হয়েছে। পথিমধ্যে খেয়ে -না খেয়ে কষ্টকর পাহাড়ি ‘জলাশয় ও নদী পথ বেয়ে আসতে হয়েছে।

এপারে পৌঁছাতে সময় ভেঙেছে ৫দিন। ফলে বয়োবৃদ্ধ ছাড়িয়ে শিশুদের করুন পরিস্থিতির শিকার ফজল কবির। সে গত ২দিন ধরে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। চেহারায় ফ্যাকাসে, থর-থর করে গা কাপছে, নেই নাওয়া খাওয়া। রেড ক্রিসেন্ট এর পক্ষ থেকে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট এবং এক প্যাকেট ওরস্যালাইন দেওয়া হয়েছে। শিশু ফজল কবির এর মত শত শত রোহিঙ্গা শিশু জীবন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। রয়েছে মৃত্যু ঝুঁকিতে!

এর বাইরেও খাদ্য, পানিয় জলের সংকট প্রবল। স্থানীয় ঘুমধুম ইউপির চেয়ারম্যান  তুমব্রু বাজারের ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে খাবার পানির ব্যবস্থা করছেন বলে জানান।

Exit mobile version