parbattanews

ঘুমধুম সীমান্তে চৌকিদার বাদশার বাদশাগীরিতে চলে চোরাচালান

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আজুখাইয়া গ্রামের মৃত গুরা চাঁন মেম্বারের ছেলে চৌকিদার বাদশা চোরাকারবারিদের পথ পাহারা দিয়ে অবৈধ বার্মিজ মালামাল পাচারে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে।

এমনকি প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে চালাচ্ছে পাচার যজ্ঞ। ঘুমধুম সীমান্তের চোরাচালান সিন্ডিকেট বাদশার হাতে। তার ইশারায় চলে মিয়ানমার কেন্দ্রীক সব চোরাই কাজ।

ঘুমধুমের ৩নং ওয়ার্ডের বাইশফাঁড়ী ও চাকমাপাড়া সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে আসা অবৈধ সিগারেট, বিয়ারসহ হরেক রকমের নিষিদ্ধ বার্মিজ পণ্য অর্থের বিনিময়ে ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ডের চোরাইপথ দিয়ে উখিয়ার হাজম পাড়া চোরাকারবারিদের কাছে পৌঁছাতে সহায়তা করে যাচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশকজন জানিয়েছেন, চোরাকারবারিদের মধ্যে যারা বাদশাকে ফাঁকি দিয়ে বার্মিজ মালামাল প্রবেশ করতে চেষ্টা করে, তাদের নিকট থেকে কেড়ে নিয়ে তার নিয়ন্ত্রণে রেখে দেয়। প্রয়োজনে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে কেড়ে নেওয়া মালামাল লুট করে নেয় বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

গোপন সূত্রে জানা গেছে, ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের গতিবিধি বাদশা কর্তৃক চোরাকারবারিদের কাছে পৌঁছালে প্রায় সময় অভিযান পরিচালনা করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যেতে হয়।

অভিযোগের ভিত্তিতে ৭নং ওয়ার্ডের চৌকিদার বাদশার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চৌকিদার বাদশা চোরাকারবারিদের একান্ত সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে এমনটি শুনেছি। যথাযথ প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

Exit mobile version