parbattanews

ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো মিয়ানমারের দুই সেনা সদস্য

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে আবারও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ী সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী দুই সেনা সদস্য।

সোমবার (১৫ এপ্রিল আনুমানিক সকাল ৮টা ৪০মিনিটের দিকে বাইশফাঁড়ী সীমান্ত পিলার ৩৭ হয়ে এপারের ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে তাদের নিরস্ত্র করে ৩৪ বিজিবির অধিনস্থ বাইশপাড়ী বিওপির জোয়ানরা। পরবর্তী তাদেরকে ঘুমধুম বিওপিতে নিয়ে যায় বলে সূত্রে জানতে পারি।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি আব্দুল মান্নান ফোন রিসিভ না করায় এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাসরুকী ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এর আগে গতকাল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সঙ্গে চলমান সংঘাতের কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের আরো ৫ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

গতকাল রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের খারাংখালি সীমান্ত অতিক্রম করে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে টেকনাফ ২-বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সীমান্ত অতিক্রম করে বিজিপির আরও ৫ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে দুই দিনে মোট ১৪ জন এসেছেন। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা আন্তর্জাতিক আইন মেনে তাদের আশ্রয় দিয়েছি।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) লড়াই-সংঘাত চলছে টানা দুই মাস ধরে। চলমান সংঘাতের কারণে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সদস্যরা কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন দেশটির ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য। তাঁরা সবাই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে রয়েছেন। এর আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।

Exit mobile version