parbattanews

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবেলায় প্রস্তুত পেকুয়া উপজেলা প্রশাসন

ঘূর্ণিঝড় হামুনের রেশ কাটতে না কাটতে আবারো বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‌মিধিলি’র প্রভাবে কক্সবাজারের পেকুয়ায় টানা দুইদিন ধরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো হালকা আবার কখনো ধমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজারে ৬ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করলে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ২টায় উপজেলা হলরুমে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ মোকাবিলায় উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি এক সভা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

বিভিন্ন এলাকা ও সাগরের উপকূলে ঘুরে দেখা যায়, মগনামা কুতুবদিয়া চ্যানেলে জোয়ারের পানি স্বাভাবিক চেয়ে একটু উত্তাল হয়ে উঠেছে। তারপরও মগনামা-কুতুবদিয়া চ্যানেল পারাপার করছে লোকজন। এছাড়াও পেকুয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে চলে আসার জন্য সিপিপির পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব আবু তাহের জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। উপজেলার ১২১টি সাইক্লোন শেল্টার, ৭টি মেডিকেল টিম, ৭টি সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত রয়েছে।এছাড়াও শুষ্ক খাবার, পানি ও মোমবাতি পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।

পেকুয়ার মধ্যে একটু ঝুঁকি পূর্ণ ইউনিয়ন শীলখালী, বারবাকিয়ার আংশিক। যেহেতু এ ইউনিয়নগুলোতে পাহাড় ধ্বসে প্রাণহানি হওয়ার সম্ভবনা থাকে।সেজন্য উপরে এবং নিচে বসবাসকারী সকলকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য ইউএনও মহোদয় সকালে গিয়ে মাইকিং করে তাদেরকে সরে যেতে অনুরোধ করেছেন।

তিনি আরো জানিয়েছেন, বিপদ সংকেত বেড়ে গেলে শিশু, প্রতিবন্ধী ও গর্ভবতী মহিলাদের আগে কে থেকেই নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে সিপিপি কাজ করছে।

Exit mobile version