parbattanews

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ দুর্বল হয়ে পটুয়াখালী ও আশপাশের এলাকায় গভীর নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকার কোথাও কোথাও এখনো বৃষ্টি হচ্ছে।

শুক্রবার বেলা ৩টায় ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল পটুয়াখালীতে। বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে সেখানে ১০২ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বয়ে যায়। সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ভোলায় ১৭৬ মিলিমিটার।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান ঘূর্ণিঝড় উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, ঘূর্ণিঝড়ে নোয়াখালীর হাতিয়ায় বেলা ২টা ৩০ মিনিটে ৯৪ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বয়ে যায়। এ ছাড়া পটুয়াখালীতে ২টা ৫২ মিনিটে ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার, কক্সবাজারে ২টা ৩৬ মিনিটে ঘণ্টায় ৫৬ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রামে বেলা ২টা ৪৫ মিনিটে ৪৫ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ রেকর্ড করা হয়।

শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ভোলায় ১৭৬ মিলিমিটার। এ ছাড়া বরিশালে ১৫৪ মিলিমিটার, পটুয়াখালীতে ১৪৪ মিলিমিটার, চাঁদপুরে ১৪১ মিলিমিটার ও ফেনীতে ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

আজিজুর রহমান জানান, গভীর নিম্নচাপটি ক্রমশ আরো দুর্বল হয়ে আগামীকালের মধ্যে গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে এবং বাংলাদেশ সীমানা থেকে বেরিয়ে আর উত্তর-পূর্ব দিকে চলে যাবে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আজ রাত ৯-১০টা পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।

এরপর বৃষ্টি পর্যায়ক্রমে কমে আসবে। আগামীকাল সারা দেশেই রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হওয়া বৃষ্টির ফলে দেশে কিছু সময়ের জন্য শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। আজিজুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টিপাতের পরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে গেলে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। এতে শীতের অনুভূতি সাময়িক সময়ের জন্য বাড়তে পারে।এরপর আবার তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়তে পারে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তর বিকেলে সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেল ৩টায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলি উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে। তবে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি দূর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় সতর্কসংকেত কমিয়ে কক্সবাজার এবং দেশের তিন সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

Exit mobile version