parbattanews

ঘের দখল: মহেশখালীতে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়ায় তোলপাড়

মহেশখালী প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের মহেশখালীতে বিরোধপূর্ণ একটি চিংড়ী ঘের দখল-বেদখল নিয়ে প্রকাশ্যে বন্দুক হাতে নিয়ে মহড়া ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২৬ মে) সকালে সংঘঠিত এই ঘটনার কিছু ছবি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ালে সর্বত্র তোলপাড় পড়ে যায়। এসব অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।

সূত্র জানায়, উপজেলার কুতুবজোম এলাকায় অবস্থিত একটি চিংড়ী ঘের নিয়ে স্থানীয় মোহাম্মদ শাহেদ ও মোহাম্মদ কাসেম গ্রুপের মধ্যে বিরোধ ছিল। এদিন সকালে একটি মাটিকাটা স্কেবেটার নিয়ে শাহেদ গ্রুপের লোকজন ঘেরের উন্নয়ন কাজ করছিল। এ সময় কাসেম গ্রুপের লোকজন বন্দুকসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

সোলাইমান নামের এক তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে ১৮-২০ জনের এই দলটি মুহুর্মুহু গুলি ছুড়লে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মারধরে আহত হয় স্কেবেটার চালক মোহাম্মদ তৌহিদ ও সুলতানসহ বেশ কয়েকজন। আহতদের মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় যুবলীগের একটি গ্রুপের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবী করেন মোহাম্মদ শাহেদ।

এদিকে অস্ত্র হাতে সন্ত্রাসী সোলাইমানের ছবি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে গেলে সর্বত্র তোলপাড় পড়ে যায়। পরে জেলা পুলিশের নির্দেশে মহেশখালী থানা পুলিশ ‘অস্ত্র উদ্ধার’ অভিযানে নেমেছেন বলে জানা গেছে।

তবে সূত্রের তথ্য বলছে, দুই গ্রুপই এদিন অস্ত্র নিয়ে মাঠে নেমেছিল। সোলাইমান গ্রুপের দাবী, মূলত: শাহেদ জমি লাগিয়তের চুক্তি করে টাকার জোরে তা না মানায় এই গণ্ডগোল হচ্ছে।

অপরদিকে শাহেদের দাবী, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও সন্ত্রাসের জোর খাটিয়ে ঘের ছেড়ে দিচ্ছে না।

মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, সন্ত্রাসী সোলায়মান প্রকাশ্যে হাতে অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও গুলি করার বিষয়টি জানার পর পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযানে নেমেছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ সোলাইমানের স্ত্রী ও সন্তানকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে বলে।

Exit mobile version