parbattanews

অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির হুমকি দিয়ে ঘোষিত ফলাফল বাতিলের দাবি করেছেন ঊষাতন তালুকদার

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটি ২৯৯ নং পার্বত্য আসনের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে তা বাতিলের দাবি করেছেন পার্বত্য জনসংহতি সমিতির  (জেএসএস) স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ঊষাতন তালুকদার।

মঙ্গলবার (০১ জানুয়ারি) বিকেলে রাঙ্গামাটি শহরের রাজবাড়িস্থ সাবারাং হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। এসময় তিনি লিখিত বক্তব্য পেশ করেন।

বক্তব্যে তিনি বলেন, ফলাফল বাতিল করা না হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে যেকোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে দায়ি থাকবে।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য সাথোই মারমা, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নিরৎপল খীসা, সহ-সভাপতি কিশোর কুমার চাকমা, কেন্দ্রীয় সদস্য শৌখিন চাকমা,ধীড় কুমার চাকমা, উদয়ন ত্রিপুরা, কেন্দ্রীয় মহিলা সভানেত্রী জয়িতা চাকমা প্রমুখ।

ঊষাতন তালুকদার লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতাসীনরা ব্যাপক কারচুপি, জাল ভোট প্রদান, কেন্দ্র দখল, প্রতিপক্ষের পোলিং এজেন্টদের উপর হামলা ও কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া কিংবা ঢুকলেও পরে বের করে দেয়া, ভোট দেয়া হয়ে গেছে বলে ভোটাদের ভোট প্রদানে বাধা, পরিচয়পত্র না থাকার অজুহাতে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশে বাধাদানের মধ্য দিয়ে নজিরবিহীন ভোট ডাকাতির নির্বাচন কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এতে রাঙ্গামাটিবাসীর সংবিধান-স্বীকৃত ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকার জোর করে কেড়ে নেয়া হয়েছে। এটা রাঙ্গামাটিবাসী কখনোই গ্রহণ করবে না। সেই সাথে ২৯৯ নং পার্বত্য রাঙ্গামাটি আসনে নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখান করছি এবং নির্বাচনকালীন আটককৃদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন তিনি।

ঊষাতন তালুকার আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ও প্রশাসন অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও আমার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য তাতিন্দ্র ও সুদর্শন চাকমার নেতৃত্বাধীন সংস্কারপন্থী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নানাভাবে মদদ দিয়ে থাকে। আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায় ২১ ডিসেম্বর ওইসব সশস্ত্র সন্ত্রাসীদেরকে জেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান তৈরি করে দেয়া হয়।

প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাবাহিনী এবং তাতিন্দ্র ও সুদর্শন চাকমার নেতৃত্বাধীন সংস্কারপন্থীদের সহায়তায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতির মাধ্যমে আমার নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে।

নির্বাচনের দিন সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর প্রাক্কালে আওয়ামীলীগের কর্মীরা প্রশাসনের সহায়তায় লংগদু উপজলার ১৭টি, বাঘাইছড়ির ১৭টি, কাপ্তাইয়ে ৬টি, কাউখালীতে ১৩টি, নানিয়অরচরে ২টি, বিলাইছড়িতে ২টি এবং রাজস্থলীতে ১টি ভোটকেন্দ্রে আমার পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ওই সময় জেলা রিটানিং, সহকারী রিটানিং অফিসার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। জেলা রিটানিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রশাসনের পক্ষে কোনো ব্যবস্থা-ই নেয়া হয়নি।

Exit mobile version