চকরিয়ায় গাছসহ গাড়ি ছিনতাই : বনদস্যুদের হামলায় আহত ৫ বনকর্মী


কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের নিয়ন্ত্রণাধীন খুটাখালী বনবিটের বনকর্মীরা পাচারকালে চোরাই কাঠ ভর্তি গাড়ি ধরতে গেলে একদল বনদস্যু হামলা চালিয়ে গাছসহ গাড়ি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এসময় বনদস্যুদের হামলায় বিট কর্মকর্তাসহ ৫ বনকর্মীকে আহত হন। স্থানীয়দের সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ২৪ আগস্ট রবিবার রাত সোয়া ৯ টার দিকে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের সেগুনবাগিচা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বনদস্যুদের হামলায় আহতরা হলেন, খুটাখালী বনবিট কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম, ফরেষ্টগার্ড অলিউল ইসলাম, বনকর্মী মোহাম্মদ হাসান, আয়াত উল্লাহ ও হাসান আলী।
আহত খুটাখালীর বনবিট কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, রবিবার রাত পৌনে ৯ টার দিকে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে অটোরিকশা নিয়ে বিপুল পরিমাণ কাঠ পাচারের সংবাদ পেয়ে দ্রুত বনকর্মী নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে গেলে গাছ ভর্তি গাড়ি দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে ওই গাছসহ গাড়িটা আটক করা হলে এসময় সংঘবদ্ধ গাছ চোরসিন্ডিকেটের ৮ থেকে ১০ জন বনদস্যুরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এসময় তাদের হামলায় আমিসহ সাথে থাকা চারজন বনকর্মীকে বেড়দক মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। এ সুযোগে সংঘবদ্ধ চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা আটককৃত চোরাই গাছ ভর্তি অটোরিকশা নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, বনবিভাগের গাছ চোর সিন্ডিকেটের সব সদস্যদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছি। তবে মামলার স্বার্থে আপাতত ওই সংঘবদ্ধ চোরদের সিন্ডিকেট সদস্যদের নাম বলা যাচ্ছে না। তাছাড়া এসব চোরাই কাজে স্থানীয় বেশ ক’জনের সম্পৃক্ততা রয়েছে এ ধরণের তথ্যও পাওয়া গেছে।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা রাশিক আহসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেগুনবাগিচা এলাকায় বিরাট একটি গাছ চোর চক্রের সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে বনবিভাগের কর্মীদের লোকচক্ষুর আডালে গাছ পাচার করে থাকেন। ঘটনার দিনও গাছ পাচারের সংবাদ পেয়ে বনবিট কর্মকর্তার নেতৃত্বে একদল বনকর্মী গাছ ধরতে ঘটনাস্থলে গেলে তাদের হামলা করে আহত করা হয়।
তিনি আরো বলেন, মূলত এই চক্রটি পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে এ ঘটনাটি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। ঘটনায় চিহ্নিত গাছ চোরদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বন আইনে থানায় মামলার এজাহার দেয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ঘটনার বিষয়টি বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।