চকরিয়া প্রতিনিধি
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের চড়াপড়া এলাকায় মরণনেশা ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি ও সেবনে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। উঠতি বয়সের যুবক ও নানান মানুষের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় ওই এলাকার নারী-পুরুষের মাঝে বিরাজ করছে এক ধরণের আতঙ্ক।
মরণনেশা ইয়াবা ট্যাবলেট শহর ছেড়ে যখন গ্রামীণ এলাকার মধ্যে সাধারণ মানুষের হাতে চলে আসছে তা রোধ করতে কঠিন হয়ে যাবে বলে সচেতন মহল জানান। স্থানীয় প্রশাসন জেনে ও না দেখার মত নীরব ভুমিকা পালন করছে। এলাকার সচেতন ব্যাক্তিরা বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নীরব ভুমিকা দেখে বহিরাগত কিছু দুবৃর্ত্তরা চড়াপাড়া এলাকায় এসে প্রতিনিয়ত ইয়াবা ট্যাবলেট দিব্যি বিক্রির রমরমা হাট বসিয়েছে বলে জানা যায়। স্থানীয় ভাবে কোনাখালী ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের পেঠান আলীর পুত্র মোজাম্মেলসহ বেশ কয়েক জন ব্যাক্তি প্রায় এক বছর ধরে মরণনেশা ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে সুত্রে জানান।
সরেজমিন ঘুরে ও খোঁজনিয়ে জানাগেছে, কোনাখালীর চড়াপড়া এলাকার পাশ্বোক্ত মাতামুহুরী নদী লগোয়া মোজাম্মেল নামের একটি মৎস্য ঘের রয়েছে।এ ঘেরের খামার বাড়িতে প্রতিনিয়ত চলছে ইয়াবা বিক্রি ও সেবন। ইয়াবা ট্যাবলেট সেবন ও বিক্রি করার সময় চড়াপড়া এলাকার মৃত আবদু ছালামের পুত্র শাহেদুল করিম ওই মৎস্য ঘেরে হাতে নাতে ইয়াবা বিক্রি ও সেবনবস্থায় পুর্ব বড় ভেওলার ঈদমনি এলাকার জামাল বলির পুত্র সুমন ও মন্নান নামে দুইজন ব্যাক্তির ছবিতোলা হয়। ছবি তোলার পরই চড়াপড়া এলাকা থেকে দু’জনে পালিয়ে যায়। এনিয়ে ঘেরের মালিক মোজাম্মেলেরর কাছে স্থানীয় শাহেদসহ বেশ কয়েকজন ব্যাক্তি ইয়াবা বিক্রি ও সেবনের কথা জিজ্ঞাস করলে উল্টো তাদের উপর চড়াও হয়ে যায়। পরে মোজাম্মেলের যোগসাজসে ঈদমনি এলাকার জামাল বলির পুত্র সুমন ও মন্নানের নেতৃত্বে দেশীয় তৈরি অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ৩০/৪০জন লোকজন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানোর চেষ্টা চালায়। বর্তমানে ইয়াবা বিক্রি ও সেবনে বাধা দেয়ায় স্থানীয় চড়াপড়া এলাকার শাহেদকে প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানায়।
প্রতিদিন চড়াপড়া এলাকায় নানা ধরণের অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। এই এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থী ও উঠতি যুবকের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে মরণনেশা ইয়াবা ট্যাবলেট, গাজাঁসহ বিভিন্ন অবৈধ নেশা জাতীয় দ্রব্যাদী। বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড দেখে ওই এলাকার নারীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ফুসে উঠেছে।সহসায় এ জগন্যতম অপরাধ রোধ করার জন্য স্থানীয় এলাকাবাসী সাংবাদিকদের নিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করান।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চড়াপড়া এলাকায় ইয়াবা বিক্রি ও সেবন করার বিষয়টি নিয়ে আমি গুরুত্বসহকারে দেখব। বিষয়টি ব্যাপারে উধ্বর্তন কতৃর্পক্ষকে জানানো হবে।
মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ(আইসি)পুলিশ পরিদর্শক সমীর চন্দ্র সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে এলাকাটি খুবই খারাপ। এখানে নানা ধরণের মাদকের ব্যবসা করে যাচ্ছে এ কথাটি শুনেছি। যখন খবর পেয়ে থাকি তখনই অভিযান চালানো হয়। জনবল সংকটের কারণে অনেক সময় বড় ধরণের অপারেশনেও যাওয়া দুস্কর হয়ে পড়ে। আমার উধ্বর্তন কতৃর্পক্ষকে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে। তারপরও এ বিষয়টি খতিয়ে দেখব।