parbattanews

চকরিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে পিতার নামের পরিবর্তে দাদার নাম দিয়ে মামলা! 

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যানের পিতার নামের পরিবর্তে দাদার নাম ব্যবহার করে ও তার পদ পদবী উল্লেখ না করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে মিথ্যা মামলা দায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ নিয়ে এলাকায় দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ফুসে উঠেছে উপজেলার উপকুলীয় ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের আপমর জনসাধারণ। গত ২২ সেপ্টম্বর চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেয়ারম্যানেরর বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের গান্ধিপাড়া এলাকার মৃত মাষ্টার হাফেজ আহমদের পুত্র দোস্ত মোহাম্মদের সাথে তার ভাই দিল মোহাম্মদের মধ্যে পারিবারিক ভাবে জায়গা-জমি সংক্রান্ত নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

এনিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে একটি নালিসী অভিযোগ দিয়েছিল দিল মোহাম্মদ। পরিষদের মধ্যে দু’তরফা দীর্ঘ শুনানী শেষে একটি চুডান্ত রায় প্রচার করেছেন ইউনিয়ন পরিষদ। এ রায়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম জিকুসহ ১৩জনকে বিবাদী করে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দিল মোহাম্মদ বাদী হয়ে অভিযোগ করেন। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে চকরিয়া থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।

স্থানীয় চেয়ারম্যানের যোগসাজসে কুপ্ররোচনা, ইন্ধনে ও সরাসরিভাবে সহযোগিতা করে দিল মোহাম্মদকে হত্যাসহ জমি জবর-দখল ও বেআইনী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ এবং রক্তাক্ত জখম করেছে দাবি করে মামলাটি দায়ের করে। উক্ত মামলায় চেয়ারম্যান নুরুল আলম জিকুর পিতার নাম ও তার পদবী উল্লেখ না দেখিয়ে মামলা দায়ের করেছেন। চেয়ারম্যানের পিতার নামের পরিবর্তে ব্যবহার করেছে দাদা শহর আলীর নাম।

এ নিয়ে পুরো ইউনিয়ন জুড়ে চলছে বিরুপ প্রতিক্রিয়া। বর্তমান চেয়ারম্যান ও একজন নির্বাচিত  জনপ্রতিনিধি বিরুদ্ধে এ ধরণের মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করায় এলাকায় আপমর জনগোষ্ঠী ক্ষোভে ফুসে উঠেছে।

ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম জিকু বলেন, আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধি। আমার বিরুদ্ধে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যে মামলা দায়ের করেছে ওই মামলায় আমার পিতার নামের স্থলে দাদার নাম ব্যবহার করে ও ঢেমুশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান না দেখিয়ে আদালতে প্রতারণা ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মামলাটি দায়ের করেছে।

এতে পরিষদের এবং আমার মানক্ষুন্ন করেছে। মুলত জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পারিবারিক ভাবে দিল মোহাম্মদ ও তার ভাই দোস্ত মোহাম্মদের বিষয়ে আমার কোন ধরণের সম্পৃক্ততা নেই। এ নিয়ে চেয়ারম্যান নুরুল আলম জিকু প্রশাসনকে সরেজমিন তদন্তপূর্বক সঠিক তথ্য উদঘাটন করতে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Exit mobile version