চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের খামার বাড়িতে তিন ঘন্টা জিন্মি রেখে পোষাককর্মী এক তরুনীকে গণধর্ষন করেছে প্রতারক প্রেমিকসহ চার বখাটে।
রোববার(১৯ জানুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে ওই তরুণীকে ডুলাহাজারা বাজার থেকে একটি টমটম গাড়িতে তুলে নিকটস্থ বালুচরের চেয়ারম্যানের খামারে নিয়ে গিয়ে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে।
সম্প্রতি মারা যাওয়া বড় ভাইয়ের চেহেলাম অনুষ্টানে অংশ নিয়ে বাড়িতে এসে ফের কর্মস্থলে ফেরার সময় গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৭ বছর বয়সী এ পোশাক কর্মী।
এ ঘটনায় পুলিশ জড়িত অভিযোগে বেলাল উদ্দিন নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে।
গণধর্ষনের শিকার তরুণীকে রোববার রাত সাতটার দিকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করলেও সোমবার দুপুরে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা দিতে আনা হয়।
ওই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তরুণীকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে ধর্ষণের প্রাথমিক লক্ষণ পেলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসিতে) রেফার করেন। কিন্তু ওই তরুণীকে কক্সবাজার হাসপাতালে গতকাল সোমবার বিকাল পর্যন্ত নেয়নি তার স্বজনরা।
গণধর্ষণের শিকার তরুণীর বড় বোন বলেন, আমার ছোট বোন চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টেসে চাকুরী করেন। ১৬দিন পূর্বে মারা যাওয়া আমার ভাইয়ের চেহলাম অনুষ্টানে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে আসেন ছোটবোন।
রোববার বিকালে উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া থেকে ইজিবাইক (টমটম) করে ডুলাহাজারা স্টেশনে যায়। সেখান থেকে চট্টগ্রামে যেতে বাসে উঠার জন্য অপেক্ষায় ছিল তরুণী। ওই সময় মোটর সাইকেল করে দুই যুবক সেখানে উপস্থিত হয়ে তরুণীকে জোরপূর্বক একটি টমটম (ইজিবাইকে) তুলে নেয়।
তারা তরুণীকে বালুচর এলাকায় আমিন চেয়ারম্যানের খামার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জিন্মি করে গণধর্ষণ করে। ধর্ষনে জড়িত ৪ জনের মধ্যে তরুণীর প্রতারক প্রেমিক বেলাল ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের ছেলে তারেকুর রহমান টিটুও জড়িত রয়েছে বলে পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.নুরুল আমিন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, আমার তালকপ্রাপ্ত স্ত্রী শাহানা বেগমের ছেলে তারেক ইতিপূর্বে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। তাকে সুপথে ফেরাতে পুলিশে সোপর্দও করা হয়েছিল। কারাভোগ করে বের হয়ে আবারো নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়লে আত্মীয়স্বজন নিয়ে বৈঠক করে ছেলে তারেককে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিই।
কিন্তু এর মধ্যেই জঘন্য ধর্ষণের ঘটনায় সেও অংশ নেয়। আমি তার উপযুক্ত শাস্তি চাচ্ছি। তার শাস্তি চেয়ে ওসিকেও জানিয়েছি।
চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শোনামাত্রই পুলিশের একাধিক টিমকে মাঠে নামিয়েছি। ধর্ষিতা পরিবারের পক্ষ থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি। মৌখিক শুনেই গণধর্ষণে জড়িত অভিযোগে বেলাল উদ্দিন নামের প্রতারক প্রেমিককে আটক করা হয়েছে। অন্য তিনজন ও ইজিবাইক (টমটম) চালককে আটক করতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।