parbattanews

চকরিয়ায় খাস জায়গা দখল করে নির্মিত দোকান গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

Chakaria Pic. 08.02

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের চোয়ারফাঁড়ি মাছ বাজারের কাছে সরকারী খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গা দখলে নিয়ে নির্মিত দুটি দোকানঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. দিদারুল আলম বিপুল সংখ্যক পুলিশ নিয়ে নির্মিত দোকানঘর গুঁড়িয়ে দেয়। তবে এ সময় দখলবাজরা পালিয়ে যায়।

এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটা থেকে পরদিন বুধবার ভোররাত পর্যন্ত দখলে নেওয়া খাস জায়গায় নির্মাণ করা হয় দুটি দোকান। এ সময় কেউ যাতে বাধা দিতে না পারে সেজন্য কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে দখলবাজরা। এতে আশপাশের মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

চোয়ারফাঁড়ি মাছ বাজারের ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাহারবিল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিমের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে চোয়ারফাঁড়ি বাজারের মসজিদের সামনের বিপুল পরিমাণ খাস জায়গা দখল করতে যায়। এ সময় তারা ভীতি সঞ্চার করার জন্য কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। পরে সেখানে রাতারাতি নির্মাণ করা হয় দুটি দোকানঘর।

চকরিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান খাস জায়গা দখলের কথা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আবদুল হাকিম ঘর নির্মাণের কথা স্বীকার করে ওই জায়গাটি তার নিজের বলে দাবি করেছেন।

উল্লেখ্য, চোয়ারফাঁড়ি সরকারী মাছ বাজার সংলগ্ন মসজিদের সামনের জায়গা দখল করে কিছুদিন আগে সেখানে মাছের পাল্লা বসানোর জন্য তোড়জোড় শুরু করেন আবদুল হাকিম ও তার লোকজন। এ ঘটনায় ১৫ জানুয়ারি স্থানীয় লোকজনের পক্ষ থেকে কোরালখালী গ্রামের মরহুম মোজাহের আহমদের ছেলে নুরুল আলম বাদি হয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাকিমকেও অভিযুক্ত করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে মাছ বাজারের মসজিদের ওই জায়গা উদ্ধার করেন এবং জড়িতদেরকে এ ব্যাপারে সর্তক করে দেন।

Exit mobile version