parbattanews

চকরিয়ায় গাড়ি চাপায় নিহত ৬ ভাইয়ের ঘাতক গাড়ির মালিক গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাটে গাড়ি চাপায় ছয় ভাই নিহত হওয়ার ঘটনায় গাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) ভোর রাতে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের সাহেবখান পাড়া থেকে ওই ঘাতক পিকআপের মালিক মাহমুদুল করিম প্রকাশ বাদলকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই কক্সবাজার ইন্সপেক্টর মো. এনামুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি দল। গ্রেপ্তারকৃত মাহমুদুল করিম ওই এলাকার মৃত শামসুল আলমের ছেলে।

পিবিআই কক্সবাজার ইন্সপেক্টর এনামুল হক চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পায় ওই পিকআপের মালিক চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় অবস্থান করছে। কিন্তু আমরা অভিযানের যাওয়ার খবরটি তিনি বুঝতে পেরে তার নিজ বাড়িতে চলে আসেন। পরে খবরটি জানতে পেরে রাতেই ওর বাড়িতে অভিযানে যায়। পরে মঙ্গলবার ভোর রাতের দিকে গাড়ির মালিক মাহমুদুল করিম প্রকাশ বাদলকে গ্রেপ্তার করি। তাকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ওই গাড়ির চালক সাহেদুল ইসলাম সাইফুলকে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেন র‌্যাব-১৫’র একটি টিম। চালক সাইফুলকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মালুমঘাট হাইওয়ে থানার (এসআই) আবুল হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল হোসেন চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে উপস্থাপন করে সাত দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক গাড়ির চালক সাইফুলকে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে চালক সাইফুল ইসলাম রিমান্ড শেষে কক্সবাজার জেলা কারাগার রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত পিতা সুরেশ চন্দ্র সুশীলের ক্ষুদান্ন দান করতে গিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটস্থ নার্সারী এলাকায় ঘাতক পিকআপ চাপায় নিহত হন ছয় ভাই অনুপম সুশীল, নিরুপম সুশীল, স্মরণ সুশীল, দিপক সুশীল, চম্পক সুশীলন ও রক্তিম সুশীল। এতে গুরুতর আহত হন ছোট ভাই প্লাবন সুশীল ও বোন হীরা সুশীল। তার মধ্যে প্লাবন সুশীল সুস্থ হলেও মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন এবং বোন হীরা সুশীল এখনও মালমুঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

Exit mobile version