parbattanews

চকরিয়ায় গ্রামবাসীর সাথে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ: আহত-৮

কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপকূলীয় ডেমুশিয়াতে গ্রামবাসীর সাথে একদল সন্ত্রাসীদের বিরোধ জড়িয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গোলাগুলিতে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রসহ আটজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তৎমধ্যে গুরুতর আহত দুইজনকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক। খবর পেয়ে পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে উপজেলার উপকূলীয় ডেমুশিয়া ইউনিয়নস্থ বাজার এলাকায় গ্রামবাসীর সাথে সন্ত্রাসীদের মাঝে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার( ১ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে ডেমুশিয়া ইউনিয়নস্থ বাজার এলাকায় হেতালিয়া পাড়া ও জমিদার পাড়া এলাকার লোকজনের মধ্যে দুই গ্রামবাসীর অন্তর্কোন্দল নিয়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। ঘটনার একপর্যায়ে হেতালিয়া পাড়া এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে মো. সেলিম, গান্ধিরপাড়া এলাকার দিল মোহাম্মদের ছেলে শহিদ ও একই এলাকার হুমায়ুন কবিরের ছেলে রাকিব, তেচ্ছাপাড়া এলাকার শাহ আলমের ছেলে খোকনের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য দিবালোকে বাজারে গিয়ে জমিদার পাড়া এলাকার লোকজনকে অতর্কিতভাবে এলোপাতাড়ি গোলাগুলি শুরু করে। গুলির শব্দ পেয়ে এলাকাবাসী ও বাজারে আসা বিভিন্ন লোকজন দিক-বিদিক ছুটে পালিয়ে যায়। এতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রসহ অন্তত ১০ ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। স্থানীয়রা আহতের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

আহতরা হলেন, ডেমুশিয়া জমিদার পাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে নেছার উদ্দিন (২৫), একই এলাকার আবদুল কুদ্দুছের ছেলে মফিজুর রহমান (২৪), মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আমির হোসেন (২২), মৃত সিরাজ আহমদের ছেলে মো.হাসান (৩৬), ডেমুশিয়া জিন্নাত আলী চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ও জমিদার পাড়া এলাকার ফরিদুল আলমের ছেলে ওয়াসিম আকরাম ছোটন (১৫), মো.হাসান প্রকাশ পেঠানের ছেলে আরিফুল ইসলাম (১৭)। এছাড়াও আরো ৩-৪জন ব্যক্তি দিক-বিদিক পালানোর সময় আহত হয়। গুলিবিদ্ধের মধ্যে আমির হোসেন ও হাসানের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাদেরকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার (ওসি) তদন্ত একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী জানান, ঘটনার কথা শুনে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ বিষয় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

Exit mobile version