parbattanews

চকরিয়ায় চলছে সামাজিক বনায়নের গাছ কাটার মহৌৎসব: বন বিভাগ নির্বিকার

CHAKARIA PIC 28-8-16 copy

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের চকরিয়া  উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ডুলহাজারা  রেঞ্জের অধীনে বনবিট এলাকায় চলছে বন খেকোদের সামাজিক বনায়নের বৃক্ষনিধন মহোৎসব। স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যুচক্র বন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে এসব অপকর্ম চালাচ্ছে বলে

অভিযোগ উঠেছে। আর এ ব্যাপারে বনবিভাগের সংশ্লিষ্টরা রহস্যজনক ভূমিকায় থাকায় সামাজিক বনায়নের অংশীদার ও উপকারভোগী লোকজনের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান,  ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব পাহাড়ে একদল ভূমিদস্যুচক্র দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক বনায়ন জবরদখল করে বৃক্ষনিধন করে বিভিন্ন ধরণের সবজির চাষাবাদ করে যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে এসব  ভূমিদস্যুচক্র অবৈধভাবে সামাজিক বনায়ন জবরদখল করে এবং বনাঞ্চলের পাহাড়ে নানান জাতের সবজি বাগান গড়ে তুলেছে। ইউনিয়নের প্রায় পাহাড় এখন প্রায় সমতল ও বিরান ভূমিতে পরিণত হয়েছে।

উপকারভোগী ও স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ডুলাহাজারা রেঞ্জ ও বিট কর্মকর্তার আস্কারায় এলাকার কতিপয় চিহ্নিত বনদস্যুরা বেপরোয়াভাবে এসব অপকর্ম চালাচ্ছে।  স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বুধবার দুপুরে ওই এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, পাহাড় কাটা ও বনাঞ্চল নিধনের ভয়াবহ দৃশ্য।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে বনবিভাগ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এখানে সামাজিক বনায়নের আওতায় এলাকার ৬৫টি  দরিদ্র পরিবারকে ১ একর করে বনায়নের জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। এদের মধ্যে উপকারভোগী ইউনিয়নের ১৬জন ব্যাক্তিকে উত্তর ঘুনিয়া, দক্ষিণ ঘুনিয়া ও দিগরপানখালী গ্রামের বরাদ্ধকৃত সামাজিক বনায়ন দখল করে গাছ কেটে সাবাড় করা হয়।

এ ব্যাপারে ডুলাহাজারা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সামাজিক বনায়ন দেখভালের দায়িত্ব বনবিভাগের চেয়ে উপকারভোগীদেরই বেশি। তারপরও অভিযোগ পেলে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Exit mobile version