parbattanews

চকরিয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক অসহায় পরিবারের জমি দখল করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

CHAKARIA SAHARBIL PIC 23-05-2017
চকরিয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় অসহায় পরিবারের পৈত্রিক ও খতিয়নভুক্ত ৭০ বছরের ভোগদখলীয় জায়গায় নির্মিত বসতবাড়ী ভাংচুর ও অর্ধশতী বছরের রোপিত গাছ কর্তন করে চলাচলাচলের রাস্তা(পথ) করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে খোদ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ২৩ মে মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বপাড়া এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুলের নির্দেশে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ।

অভিযোগ সুত্রে জানায়, চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব পাড়া এলাকার মৃত লাল মিয়ার পুত্র আবুল কাসেমের ৭০ বছরের পৈত্রিক জায়গায় বসত ঘর নির্মাণ করে শান্তিপূূণ ভাবে বসবাস করে আসছিল। ২৩ মে মঙ্গলবার সকালের দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুলের উপস্থিতিতে পরিষদের ইউপি সদস্য, চৌকিদার নেতৃত্বে ভোগদখলীয় বসতবাড়িতে ভাংচুর চালিয়ে ও রোপিত গাছ কর্তন করে চলাচলের রাস্তার পথ নির্মাণ করে। এ ঘটনা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয় ভোক্তভোগী পরিবাররের সদস্যরা অভিযোগ তুলেছেন খোদ ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুলের বিরুদ্ধে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত কয়েক বছর পূর্বেচলাচলের পথ বন্ধ করে দেন স্থানীয় শাহ আলমের নামের প্রভাবশালী ব্যাক্তি। পূর্বের পথ বন্ধ হওয়ায় দেখা দেয় চরম বিশৃঙ্খলা।

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্য আবুল কাসেম ও তার স্ত্রী অভিযোগ করে সাংবািদকদের বলেন, পূর্বের দীর্ঘদিনের চলাচল রাস্তার পথ বাদ রেখে আমার পৈত্রিক ৭০ বছরের ভোগদখলীয় জায়গার উপর দিয়ে চলাচল রাস্তা করার জন্য চেয়ারম্যান মহসিন বাবুলের নির্দেশে পরিষদের মেম্বার ও চৌকিদার বসতঘর ভাংচুর চালায় এবং আমাদের কোন কথা কর্ণপাত না করে চেয়ারম্যানের নির্দেশমতে বসতবাড়ীর পুরানো গাছ কর্তন করে ফেলে। যেহেতু আমার বাড়ীর পাশ্ববর্তী রয়েছে চেয়ারম্যানের আপন ভাতিজির বসতবাড়ী। ন্যায় বিচার না করে উল্টো আমার জায়গা দখলে নিয়ে চলাচল পথ সৃষ্টি করে।পুরাতন চলাচল পথটি ছিল সম্পূর্ণ চেয়ারম্যানের ভাতিজির জায়গার উপর। এ ব্যাপারে ভোক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল জানিয়েছেন, স্থানীয় জনগণ চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে চলাচল উন্মুক্ত করার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগটি আমার কাছে প্রেরণ করেন। এরই আলোকে স্থানীয় মেম্বার ও পরিষদের দফাদার-চৌকিদার এবং স্থানীয়দের নিয়ে বৈঠক করে চলাচল উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

Exit mobile version