parbattanews

চকরিয়ায় জমজম হাসপাতাল থেকে ভুয়া চিকিৎসক গ্রেফতার, ৩ মাসের সাজা

কক্সবাজারের চকরিয়ায় জমজম হাসপাতাল থেকে হুমায়ুন কবির (৪০) নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গ্রেফতারকৃত ভুয়া চিকিৎসককে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহাত উজ জামান অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃত ভুয়া চিকিৎসক হুমায়ুন কবির মুন্সিগঞ্জ জেলার টরকী ইসলামপুর এলাকার মোহাম্মদ দিদারুল আলমের ছেলে।

সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরশহরে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান জমজম হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভুঁয়া চিকিৎসক হুমায়ুন কবিরকে দিয়ে বিভিন্ন রোগীকে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দিয়ে আসছিল। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশকিছু রোগী তার আচার-ব্যবহার ও ভুল চিকিৎসা নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন তুলেছিল। কিন্তু চিকিৎসক হুমায়ুন কবিরের এহেন বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পরও ভোক্তভোগীরা কোন ধরনের সমীচী জবাব পায়নি। তারপরও ওই ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, চিকিৎসক হুমায়ুন কবিরের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন তালিকায় যে নাম রয়েছে তাতেও তার নাম, পিতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা ও এনআইডি কার্ডের ঠিকানার সাথেও কোন ধরনের মিল নেই। চারটি স্থানে চার ধরনের নাম ব্যবহার করেছেন চিকিৎসক হুমায়ুন কবির।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত উজ জামান অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া চিকিৎসকে আটক করেন।

নাম প্রকাশে অনিশ্চুক কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি জানায়, জমজম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষের সাথে দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে যে প্রতারণা করে আসছিল। তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা অত্যাবশ্যক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কখনও চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দিয়ে মানুষের জীবন নিয়ে খেলতে পারে না। তাদেরও শাস্তি হওয়া দরকার।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহাত উজ জামান। তিনি বলেন, চিকিৎসক সেজে অপচিকিৎসা দিচ্ছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চকরিয়া জমজম হাসপাতালে দুপুরে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে হুমায়ুন কবিরকে আটক করা হয়।

তিনি বলেন, ডিগ্রি না থাকলেও সার্জন হিসেবে পরিচয় দিয়ে রোগী দেখা ও প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন ব্যবহার করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৪৪ ধারায় তাকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে। এই ভুয়া চিকিৎসক দীর্ঘদিন থেকে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। তার ভিজিটিং কার্ডে লেখা উচ্চ ডিগ্রি ব্যবহার করছেন, তার কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি বলেও জানান তিনি। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Exit mobile version