চকরিয়ায় ট্যোবাকোর প্রতারণার ফাঁদে ১৫’শ তামাক চাষী, ৩ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার তামাক চাষ অধ্যুষিত কয়েকটি ইউনিয়নের ১৫শ তামাক চাষী আবুল খায়ের ট্যোবাকোর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বর্তমানে ক্ষতির মুখে পড়া এসব চাষী পথে বসার উপক্রম হয়ে পড়েছে। অনেকেই মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে লাভের আশায় চাষে নেমে শুরুতে বিনিয়োগকৃত টাকা হারিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় চাষীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা।
ভুক্তভোগী তামাক চাষীরা জানান, মৌসুম শুরুর তিনমাস আগে থেকে তারা জমি মালিকদের কাছ থেকে প্রতিকানি জমি ২০ হাজার টাকা করে আগাম লাগিয়ত নিয়ে তামাকের বীজতলা তৈরি, চারা উৎপাদন, তামাক শোধনের জন্য তন্দুল নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন। এসব খাতে তাদের খরচ হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। কোম্পানীর পক্ষ থেকে চাষ শুরুর পূর্বে চাষীদের মাঝে বীজ, পলিথিন ও কিটনাশকসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তাদেরকে তামাক চাষে উৎসাহ যোগায়।
মঙ্গলবার চকরিয়া উপজেলা সদরে এসে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা অভিযোগ করেন শেষ মুহুর্তে এসে গত কয়েকদিন ধরে আবুল খায়ের কোম্পানী তামাক ক্রয় করবেনা মর্মে চাষীদের আগাম জানিয়ে দেয়ায় ওই কোম্পানীর অধিন ১৫শ তামাক চাষী এ বিপুল পরিমান অর্থের ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। এতে করে চাষীদের মাঝে চরম হতশা বিরাজ করছে।
এদিকে আবুল খায়ের ট্যোবাকোর একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, সরকার তামাক খাতে আয়কর বৃদ্ধি করে দেয়ায় ও তাদের পণ্য বাজারে বিক্রয় কমে যাওয়ার কারণে চাষ বন্ধকরে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
উপজেলার মানিকপুর গ্রামের আবুল খায়ের ট্যোবাকো কোম্পানীর রেজিস্টা র্ড তামাক চাষী কামাল উদ্দিন মেম্বার জানান, তার এলাকায় ২৫০ জন চাষী, কাকারা ইউনিয়নের লোটনী গ্রামের তামাক চাষী এনামুল হক জানান, তার এলাকায় প্রায় ১শ জন চাষীসহ এ উপজেলার প্রায় ১৫শ চাষী বীজতলা ও চারা উৎপাদন শেষ করে শেষ মুহুর্তে কোম্পানীর পক্ষ থেকে তামাক ক্রয় না করার আগাম ঘোষণা দেয়ায় ১৫শ চাষীর প্রায় ৩ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তারা দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। চাষীরা এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।