parbattanews

চকরিয়ায় ঢেমুশিয়ায় কর্মসৃজন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ

চকরিয়া প্রতিনিধি :
চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে অতি দরিদ্রদের কর্মসূচি কর্মসৃজন প্রকল্পের চলতি অর্থ বছরে প্রথম পর্যায়ের প্রকল্প সমূহ বাস্তবায়নে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ৪০ দিনের এ কর্মসূচি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নকারী প্রকল্প কমিটির লোকজন ও চকরিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় (পিআইও)অফিসের যোগসাজসে কাজ না করে ১১ জন শ্রমিকদের মজুরী উত্তোলনেরও অভিযোগ রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এ প্রকল্পের মেয়াদ আর কিছু দিন বাকী রয়েছে। বুধবার দুপুরের দিকে সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে, উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে কর্মসৃজন প্রকল্পের অধীনে রাস্তা সংস্কার প্রকল্পে অবকাঠামো উন্নয়ন চোখে পড়ার মত কাজ দেখা যায়নি।

কাজের শ্রমিক ও স্থানীয় কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানাগেছে, স্থানীয় চেয়ারম্যানের নির্দেশে পরিষদের ৯টি ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) ও তাদের স্ত্রীর নামে কার্ড করা হয়েছে। এছাড়াও চেয়ারম্যানের নিকটতম দু’জন ব্যাক্তির নামে কার্ড রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ৪০ দিনের কাজের ৭৪ জন শ্রমিক রয়েছেন। তৎমধ্যে ৬৩ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। বাকী ১১ জন শ্রমিক কাজ না করে বিল উত্তোলন করার জন্য গেলে তা বন্ধ করে দেয় প্যানেল চেয়ারম্যান আরছ খাতুন।

স্থানীয়রা আরো জানান, আমরা নিয়মিত কাজে এসে থাকি। অন্যরা কেন আসে না সে ব্যাপারে কোন কিছু জানাতে অপরাগতা জানান জনপ্রতিনিধিরা। ক্ষোভ নিয়ে বলেন এগুলো কি সরকারের টাকা লুটপাটের প্রকাশ্য প্রকল্প। প্রকল্প কমিটির নিযুক্ত শ্রমিক কোন ধরণের এক দিনের জন্যও কাজ করেনি। রাস্তাসংস্কার প্রকল্পে ৭৪জন শ্রমিকের ১১ জন শ্রমিকের নামে বিল ভাউচার করে বিপুল পরিমাণের অর্থ অনিয়মের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে যাচ্ছে বলে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান আরছ খাতুন জানান। বর্তমানে ১১ জন শ্রমিকের ব্যাংকের চেক আমার হেফাজতে রয়েছে।

এ বিষয়ে ঢেমুশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আলম জিকু’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্মসৃজন প্রকল্পে শ্রমিকের বেতন ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে গেলে পরিষদের মহিলা সদস্য আরছ খাতুন চাদাঁদাবী করে। এতে বাধাঁ দেয়ার কারণে আমার বিরুদ্ধে নানা এ অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

এব্যাপারে চকরিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জোবায়ের বলেন, ঢেমুশিয়া কর্মসংস্থান কর্মসুিচর কাজের শ্রমিকের নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা উত্তোলন বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে এব্যাপারে  খতিয়ে দেখা হবে তিনি জানান।

Exit mobile version