parbattanews

চকরিয়ায় দুই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক-২

কক্সবাজারের চকরিয়ায় দুই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে।

শুক্রবার রাতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সোমবার বিকালের দিকে ঘটনাটি স্থানীয়দের মাঝে জানাজানি হয়। উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের বেতুযা বাজারস্থ বেরাপাড়া এলাকায় এ ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন, বিএমচর বেতুয়া বাজারস্থ বেরা পাড়া এলাকার মৃত মোস্তাক আহমদের ছেলে জামাল উদ্দিন (৫০) ও একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল (২৮)।

ভিকটিম কিশোরীর পিতা জানান, গত শুক্রবার আমার স্ত্রীকে চিকিৎসা করার জন্য কক্সবাজারে যায়। ওইদিন রাতে চিকিৎসা করতে বিলম্ব হওয়ায় আর বাড়ি ফেরা হয়নি। পরের দিন বিকালে বাড়িতে আসলে আমার মেয়ে ও তার সাথে রাত্রে বাড়িতে থাকা বান্ধবীকে আক্রান্ত করার ঘটনার বর্ণনা দেয়। এ সময় তাদের শরীর ভালো করে দেখলে ভিকটিমদের শরীরে আলামত পাওয়া যায়। এ ঘটনাটি সামাজিক মান সম্মানের ভয়ে স্থানীয় কোন ব্যক্তিদের বিষয়টি অবহিত করেনি।

তিনি আরও জানান, ঘটনার শিকার মেয়ের অপর বান্ধবীর পিতাকে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলে বিষয়টি এলাকায় প্রকাশ পায়। পরে সোমবার বিকালে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত এক আসামীর পিতা ও অপর এক আসামীর ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।

বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এস জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করার বিষয়টি আক্রান্ত পরিবারের কেউ আমাকে অবহিত করেনি। ঘটনায় জড়িতদের  দুই আত্বীয়কে পুলিশ আটক করলে ঘটনার বিষয়টি সম্পর্কে আমাকে অবহিত করেন। এ ধরণের ঘটনাটি বড়ই ন্যাক্কার জনক বলে তিনি মন্তব্য করেন।

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এ.কে.এম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, ধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ পাওয়ার পরে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের এক আসামীর পিতা ও ভাইকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা নিয়ে আসা হয়। তবে ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমদের উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়।

তিনি আরও বলেন, ভিকটিমদের মঙ্গলবার সকালে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস (ওসিসিতে) নিরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে বলেও তিনি জানান।

Exit mobile version