parbattanews

চকরিয়ায় নদীগর্ভে বিলীন ৫ বসতি, হুমকির মুখে মসজিদসহ শতাধিক স্থাপনা


চকরিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় টানা ভারি বর্ষণ, মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি ও সাগারে আমাবশ্যার জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে প্রায় চিংড়ি ঘের। এতে পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে প্রায় ৩ লক্ষাধিক জনগোষ্টি। উপজেলা সদরের সাথে বিভিন্ন অভ্যান্তরিন সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ২৫ জুলাই রাত পযর্ন্ত বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের আবদুল বারিপাড়ায় নদী গর্ভে বিলীন হয়েগেছে বসতিসহ ৫টি স্থাপনা। হুমকির মুখে রয়েছে মসজিদসহ আরো শতাধিক বসতি।

পৌরসভার ভাঙ্গারমুখ-ঘুনিয়াসড়ক যেকোন মুহুর্তে বিলীন হয়ে ফাসিয়াখালী হয়ে নতুন নদীপথ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খুটাখালী লালগোলা সড়কের প্রায় ৩৩ মিটার সড়ক ও বাধ ভেঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েগেছে। বিএমচর কুরইল্যারকুম ও কোনাখালী পরিষদ সংলগ্ন বেড়িবাধ ভেঙ্গে গিয়ে বড়– ধরণের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এখন রাত জেগে শতশত মানুষ ওই বাধ রক্ষায় পাহারা বসিয়েছে। পৌর এলাকাসহ উপজেলার ১৮ ইউনিয়নই এখন পানিতে নিমজ্জিত।

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী জানিয়েছেন, সাগরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সহসাই বন্যার পানি নামতে পারছেনা। যার কারণে পৌরসভার অধিকাংশ এলাকা পানিতে ডোবা রয়েছে। পৌরসভার ৮নম্বর ওর্য়াড়ের কোচপাড়ার পাউবোর বেড়িবাঁধ দিয়ে লোকালয়ে পানি ডুকেছে, ভাঙ্গারমুখসহ একাধিক স্থানে বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। পৌরসভার অন্তত ৩০ হাজার জনসাধারণ পানিবন্দি রয়েছে।

উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম জানিয়েছেন, মাতামুহুরী নদীতে পানির প্রবল স্রোতে  তাঁর ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা তলিয়ে গেছে। প্রাচীনতম মসজিদসহ হাজারো ঘর-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান পানিতে নিমজ্জিত হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে।

Exit mobile version