parbattanews

চকরিয়ায় নারীর ওপর বর্বরতা ও সর্বস্ব ছিনতাই, মামলা নিচ্ছে না পুলিশ

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরে এক নারীর ওপর বর্বরতা চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এ সময় গাড়ির গতিরোধ করে ভেতর থেকে ওই নারীকে বের করার পর শরীরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, কয়েকটি মোবাইলসহ সর্বস্ব ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তিনটি মোটর সাইকেলযোগে আসা সন্ত্রাসীরা এ সময় ওই নারীর শ্লীলতাহানিসহ সাথে থাকা ভাইদেরও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। ঈদ উপলক্ষে ওই নারী চকরিয়া পৌরশহরে এসেছিলেন কেনাকাটা সারতে। কিন্তু ফেরার পথে তিনি এই ঘটনার শিকার হন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখসহ ৬ জনকে আসামি করে থানায় একটি এজাহার জমা দিলেও পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বৈরাগীরখিল গ্রামের গৃহবধূ নাহিদা সুলতানা সুমি বাদী হয়ে থানায় জমা দেওয়া এজাহারে দাবি করেছেন, গত ১৩ মে রাত পৌণে আটটার দিকে তিনি এবং একাধিক ভাই-স্বজনকে নিয়ে নিজের ব্যবহৃত একটি গাড়ি নিয়ে ঈদের শপিং করতে আসেন চকরিয়া পৌরশহরে। শপিং শেষে তিনি বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার চেষ্টা করলে তীব্র যানজটের কবলে পড়েন। তবে বিকল্প পথ চকরিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক হয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় শমসের পাড়া নামক স্থানে পৌঁছলে তিনটি মোটরসাইকেলে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদের গাড়ির গতিরোধ করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, কয়েকভরি স্বর্ণালঙ্কার ও কয়েকটি দামি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এমনকি মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা ওই নারীকে শ্বাসরোধ এবং সাথে থাকা ভাই-স্বজনদের ওপর হামলা চালায়।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ নাহিদা সুলতানা সুমি অভিযোগ করেছেন, এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে তাৎক্ষণিক থানায় লিখিত এজাহার জমা দিলেও পুলিশ কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এই পরিস্থিতিতে আমরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। এই ঘটনার পর থেকে আমার পরিবারের ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে গেছে। আমি এ ব্যাপারে পুলিশের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ‘ঈদ শপিংয়ে আসা এক নারী এ ধরণের একটি লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দিয়েছেন। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করার জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Exit mobile version