চকরিয়া প্রতিনিধি:
চকরিয়ায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশু ছাত্রীকে (১১) আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে জোরপুর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে।
ঘটনাটি জানতে পেরে চকরিয়া থানার এএসআই জুয়েল রায় এর নেতৃত্বে পুলিশের একটিদল তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক হুমায়ুন কবিরকে (২২) গ্রেফতার করেছে।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত সময়ে চকরিয়া শহরে অবস্থিত আল রহমত নামের একটি আবাসিক হোটেলের ভেতরে ঘটেছে এ ধর্ষণের ঘটনা। গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ ভিকটিম ওই ছাত্রীকে চকরিয়া পৌরবাস টার্মিনালস্থ বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান চকরিয়া সিটি হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার(৫আগস্ট) সকালে ভিকটিম শিশুটির মামী হামিদা বেগম বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত ধর্ষককে আসামি করে চকরিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলা রুজু করেছেন।
মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামি হুমায়ুনকে আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। অপরদিকে গুরুতর আহত ওই ছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসা এবং শারীরিক পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠিয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ধর্ষক হুমায়ুন উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের সাবানঘাটা এলাকার বদিউল আলমের ছেলে। অপরদিকে আক্রান্ত শিশু ছাত্রীটি একই ইউনিয়নের নয়াবাজার এলাকার মৃত রেজাউল করিমের ছেলে। বাড়ির পাশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে এ শিক্ষার্থী।
চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেন, শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনাটি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক চকরিয়া সিটি হাসপাতালে পুলিশের একটি দলকে পাঠানো হয়। পরে পুলিশ সেখান থেকে অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতার ও গুরুতর অবস্থায় ভিকটিম শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শিশুটির মামী হামিদা বেগম বাদি হয়ে মঙ্গলবার থানায় একটি মামলা রুজু করেছেন। গ্রেফতারকৃত আসামি হুমায়ুনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। অপরদিকে গুরুতর আহত ওই ছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসা এবং শারীরিক পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
