parbattanews

চকরিয়ায় পাথর বোঝাই ডাম্পারের ধাক্কায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু

চকরিয়ায় নিহত মীর আহমদ

চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বাজারে পাথর বোঝাই ডাম্পার ধাক্কায় আহত ৩ জনের মধ্যে একজন মারা গেছে। নিহত মীর আহমদ (৩৫) ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বালুরচর গ্রামের বদিউল আলমের ছেলে। সোমবার সকালে তিনি চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

গত ২৫ মে ভোরে পাথর বোঝাই কক্সবাজারমুখী একটি ডাম্পার চালকের ঝিমুনিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুলাহাজারা বাজারে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওইসময় ৩ জনকে গুরুত আহত হলে তাদেরকে প্রথমে চকরিয়া সরকারি হাসপাতাল ও পরে ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে বাম পায়ে মারাত্মক জখম হওয়ায় মীর আহমদের পা কেটে ফেলতে হয়েছে।

পরিবার সদস্যরা জানিয়েছেন, চিকিৎসা বাবদ প্রায় ৬ লক্ষ টাকা খরচ করেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার দিন পাথর বোঝাই ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুলাহাজারা বাজার মহাসড়ক লাগোয়া একটি ভাসমান দোকান চাপা দেয়।

তিনি আরও বলেন, ড্রাম ট্রাকটি সিলেটি পাথর নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল। এসময় গুরুতর আহত হয় ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামের মৃত ছব্বত আহমদ সওদাগরের ছেলে মোঃ পিয়ারু ফরহাদ, বালুরচর গ্রামের বদিউল আলমের ছেলে মীর আহমদ ও ভাসমান দোকানের মালিক সুকুমার দে।

দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পর সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মীর আহমদের মৃত্যু হলেও অন্যরা এখনো মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে। দুর্ঘটনায় বাজারের মুমিন মার্কেট ও মানিকের মোবাইল লোড় দোকানের সামনে দুটি চলাচল সানসেট ভেঙে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। পরে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) এর গাড়ি এসে পাথরগুলো উত্তোলন করে নিয়ে যায়।

ঘটনার পরপর মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ স্থানীয় জনতার সহায়তায় ট্রাক ধাক্কায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং দূর্ঘটনা কবলিত গাড়ি ও চালককে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

Exit mobile version