parbattanews

চকরিয়ায় পুলিশকে মারধর করে আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ২, থানায় ৪২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চকরিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাড়া এলাকায় গাড়ি ভাংচুর ও পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৪২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে থানা পুলিশ।

২জুলাই রবিবার বিকালে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহাবুবুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। পুলিশের দায়ের করা মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২৫ জনসহ ৪২ জনকে আসামী করা হয় বলে নিশ্চিত করেন থানার এসআই মাহাবুবুর রহমান।

পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাড়া এলাকার নুরুল কবিরের ছেলে এরশাদ উল্লাহ (২০) ও মাইজ পাড়া এলাকার মৃত আবু তাহেরের ছেলে আবদুল মোনাফ (৪২) কে।

পুলিশ কর্তৃক দায়ের করা মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ১জুলাই  সকালে কালা মিয়া হত্যা মামলার আসামী আবদুল কাদেরকে গ্রেফতার করতে যায় থানার উপ-পরিদর্শক এসআই মাহাবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। ওইসময় হত্যামামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী কাদেরকে গ্রেফতার করে সিএনজি চালিত
ট্যাক্সিতে তোলা হয়। কিন্তু তাকে থানায় আনতে পারেনি পুলিশ।

আসামী বহনকারী সিএনজি গাড়িটি চলার সাথে সাথেই একদল দুর্বৃত্ত গাড়িটি ঘেরাও করে ভাংচুর এবং চাকা ফুটো করে নষ্ট করে দেয়।

এসময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ৬ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। হামলাকারীদের বেধড়ক মারধরে আহত হয় থানার এসআই মাহাবুবুর রহমান, নায়েক জুলফিকার, কনস্টেবল নায়েম, কনস্টেবল বোরহান উদ্দিন, কনস্টেবল বাপ্পারাজ ও সিএনজি চালক দেলোয়ার।

গোলাগুলির সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় পুলিশকে সহায়তাকারী যুবক আশেক এলাহী আরাফাত (২০), ছিনিয়ে নেয়া আসামীর মেয়েকিশোরী খাদিজা বেগম (১৪) ও তার মা।

এদিকে গুলিবিদ্ধ খাদিজা চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আশেক এলাহী কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হলেও শনিবার বিকালে কাউকে না জানিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে পারে ভয়ে সে হাসপাতাল থেকে আত্মগোপন করে।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, পুলিশের কাজে বাঁধা ও হামলার ঘটনায় ৪২ জনকে আসামী করে মামলা রুজু করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Exit mobile version